মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন বারবার ডেমোক্রেটদের আহ্বান করা সত্ত্বেও ইজরায়েলের উপর চাপ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে, তারা দুই দেশের মধ্য়ে যুদ্ধ থামানোর জন্য় সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৪-র পর ইজরায়েল ও গাজার মধ্যে সংঘর্ষ সব থেকে খারাপ পর্যায় রয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের দূতকে বারবার আলোচনার জন্য় ডেকেছে আমেরিকা। কিন্তু ইজরায়েল সাড়া দেয়নি। এমনকী কোনও দেশের কোনওরকম বার্তাতেই সাড়া দিচ্ছে না ইজরায়েল। এই নিয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রনায়করাও চিন্তিত। মার্কিন রাষ্ট্রদৃত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড জানিয়েছেন, চিন, তিউনিশিয়া ও নরওয়ে ইজরায়েলের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছিল। তবে ইজরায়েলের রাজনেতারা সাড়া দেননি।
advertisement
গাজার উপর একের পর এক এয়ার স্ট্রাইক করছে ইজরায়েল। যার জেরে প্রায় ২০ লাখ সাধারণ মানুষের প্রাণসংশয় দেখা দিয়েছে। এভাবে হামলা চলতে থাকলে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছে আমেরিকা। ইতিমধ্য়ে গাজা সিটির সব থেকে বড় বিল্ডিং গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। রবিবার গাজা সিটিতে কমপক্ষে ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৫৫টি বাচ্চা ও ৩৩ জন মহিলা প্রাণ হারিয়েছেন। ১৩০০ জন গুরুতর আহত বলে জানা যাচ্ছে। ইজরায়েলেও এখনও পর্যন্ত মোট আচজন প্রাণ হারিয়েছে। পাঁচ বছরের একটি বাচ্চাও বোমার আঘাতে মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়েছে বলে জানা গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে দুই দেশের এমন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সারা বিশ্বের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।