মুরসি সমাজ গোটা বিশ্বের আলোচনায় থাকে মূলত তাঁদের আজব কিছু প্রথার জন্য। এই উপজাতিদের মহিলাদের নিচের ঠোঁট কেটে দেওয়া হয়। সেই ঠোঁট কেটে তাতে কাঠের চাকতি ঢোকানো হয়। অশুভ নজর থেকে সুরক্ষা আসবে, এমনটা ভেবেই এই প্রচলন রয়েছে মুরসি সমাজে। তবে এর জেরে ওই মহিলাদের ঠোঁটে নিচের অংশ অস্বাভাবিক ভাবে বড় হয়ে যায়।
advertisement
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সমাজের পুরুষদের বিশ্বাস মহিলারা যদি কুৎসিত দেখায়, তবে কেউ তাঁদের দিকে তাকাবে না। মহিলারও বছরের পর বছর ধরে এই প্রথা মেনে চলেন। মুরসি সমাজে কোনও মেয়ে ১৫ বছরে পা রাখলেই কঠিন এই রীতি মানতেই হয়। এ জন্য মেয়েদের ঠোঁটের নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়। তারপরে ঠোঁটে নিচের অংশে কাঠ এবং মাটির চাকতি ঢোকানো হয়। মহিলাদের এই আজব প্রথার জন্য সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুরসি জাতি।
মুরসি ছাড়াও আফ্রিকার ছাই এবং তিরমা উপজাতিদের মধ্যে এই প্রথার প্রচলন এখনও চলছে। মুরসি উপজাতি কাঠ কেটে বিপজ্জনক অস্ত্র তৈরি করে। এই অস্ত্রগুলো এতোটাই ধারালো যে এগুলো কাউকে নিমেষেই মেরে ফেলতে পারে।
পর্যটকবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি বিনা অনুমতিতে তাঁদের সীমানায় ঢুকে যায়, তাহলে তাঁদের জীবিত ফেরার কোনও নিশ্চয়তা নেই। ইথিওপিয়ান সরকারও পর্যটকদের সঙ্গে এই উপজাতিদের সরাসরি যোগাযোগ নিষিদ্ধ করেছে।
ঐতিহ্যবাহী অস্ত্রের পাশাপাশি এই উপজাতির লোকেরা নিরাপত্তার জন্য আধুনিক অস্ত্রও মজুদ করছে। এই উপজাতির মূলত বাস ওমো নদীর তীরবর্তী এলাকায়। এর পাশেই রয়েছে সুদান এবং সোমালিয়ার মতো রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন, প্রবল ঠান্ডা ও অন্ধকারে জমে পূর্ব আমেরিকার ক্রিসমাসের সকাল, তুষারঝড়ে মৃত ৩১
এই উপজাতিকে ঘনিষ্ঠভাবে যাঁরা চেনেন, তাঁদের মতে এই গোষ্ঠীর কাছে একে-৪৭ এর মতো অত্যাধুনিক বন্দুক রয়েছে। এসব বন্দুক কিনতে ৩০ থেকে ৪০টি গরু দিতে হয়। প্রতিবেশী দেশ সুদান ও সোমালিয়া থেকে তাঁরা সহজেই অস্ত্র পেয়ে যান।