TRENDING:

Bizarre: ধর্মগুরুর মৃতদেহ আলো দিয়ে সাজিয়ে চলত সঙ্গম! পুলিশের গোচরে এল বিশ্বের জঘন্যতম অপরাধ

Last Updated:

দ্য ডেইলি বিস্ট নামের এক সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল আলোড়ন এবং ঘৃণার জন্ম দিয়েছে বিশ্বদরবারে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলোরাডো: ইংরেজিতে বিষয়টিকে বলা হয় নেক্রোফিলিয়া (Necrophilia)। যৌনবিদরা বলে থাকেন যে যতক্ষণ পর্যন্ত না অন্যের অস্বস্তির কারণ ঘটানো হচ্ছে অথবা সম্মতি ব্যতিরেকে বলপূর্ব নিগ্রহ করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যৌনতায় অস্বাভাবিক বলে কিছু হয় না। কিন্তু তার পরেও এমন কিছু যৌনাচার রয়েছে যা প্রশাসন এবং নৈতিকতা উভয় তরফেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম বা নেক্রোফিলিয়াও তার মধ্যে পড়ে, পড়ে শিশুদের সঙ্গে যৌনাচারও। এই দুই অভিযোগেই সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করল এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের।
advertisement

দ্য ডেইলি বিস্ট নামের এক সংবাদমাধ্যমে এই খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল আলোড়ন এবং ঘৃণার জন্ম দিয়েছে বিশ্বদরবারে। জানা গিয়েছে যে বিশ্বের এই জঘন্যতম অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে ইউনাইটেড স্টেটসের কলোরাডোতে। লাভ হ্যাজ ওন (Love Has Won) নামের এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রধান, যাঁকে শিষ্যরা মাদার গড নামে অভিহিত করতেন, সেই অ্যামি কার্লসনের (Amy Carlson) সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরই পচে যেতে থাকা মৃতদেহ সম্প্রতি আলো দিয়ে সাজিয়ে রাখা অবস্থায় এক বাড়ির ভিতরের সমাধিক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বাড়িটি ক্রেস্টোন শহরের পশ্চিমে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রধান শাখা কাসাডা পার্কের ঠিকানায় অবস্থিত।

advertisement

জানা গিয়েছে যে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীরই এক সদস্য গুরুমার মৃতদেহের সঙ্গে অন্য সদস্যদের সঙ্গমের বিষয়টি সাগুয়াচে কান্ট্রি শেরিফের দফতর এবং কলোরাডো ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের গোচরে আনেন। ওই ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী তিনি কিছু অনুরাগীর পুনর্বাসনের কাজে কিছু দিনের জন্য কাসাডা পার্কের কেন্দ্র থেকে দূরে ছিলেন। ফিরে এসে তিনি দেখেন যে গুরুমার দেহ আলো দিয়ে সাজিয়ে, বাড়ির ভিতরে একটি ঘরে সমাধিক্ষেত্র তৈরি করে, সেখানে একটি স্লিপিং ব্যাগে ভরে রাখা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে যে অ্যামির মৃত্যু হয়েছিল ওরিগানোতে, সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল কাসাডা পার্কে।

advertisement

এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনুরাগীরা বিশ্বাস করতেন যে অ্যামি তাঁদের পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান ছাড়ানোর অপার্থিব ক্ষমতা প্রদান করবেন। এই বিশ্বাস থেকে অনেকেই গোষ্ঠীকে নিয়মিত মোটা টাকার অনুদান দিতেন। যা সদস্যদের এবং অ্যামির বিলাসবহুল জীবনযাত্রার কাজে ব্যয় করা হত। এই অপার্থিব ক্ষমতা অর্জনের জন্যই মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম চলছিল বলে পুলিশ ধারণা করেছে। তবে গোষ্ঠীর সদস্যরা এই নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কোনও স্বীকারোক্তি দেননি। তাঁরা অ্যামিকে মৃত বলেও উল্লেখ করেননি, কেবল বলেছেন যে তিনি এখন সবার যোগাযোগের অতীত!

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

পুলিশ যখন কাসাডা পার্কের বাড়িতে হানা দেয়, তখন সেখান থেকে ১৩ বছরের একটি মেয়ে এবং ২ বছরের একটি ছেলেকেও উদ্ধার করেছে। এদের উপরেও নিয়মিত যৌন অত্যাচার চলত বলে জানা গিয়েছে। আপাতত এই শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে এটাও জানা গিয়েছে ওই মৃতদেহ অ্যামিরই; আপাতত মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Bizarre: ধর্মগুরুর মৃতদেহ আলো দিয়ে সাজিয়ে চলত সঙ্গম! পুলিশের গোচরে এল বিশ্বের জঘন্যতম অপরাধ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল