অন্য দিকে পরিস্থিত জটিল হওয়ায় ঘটনা নিয়ে আলোচনায় বসছে ন্যাটো। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ন্যাটোর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে একটি জরুরি ভিত্তিক বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে সামরিক কৌশল ঠিক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ৩১ দেশের ন্যাটো একযোগে রাশিয়ার উপর হামলা চালাতে পারে বলেও শোনা গিয়েছে। যদিও সে খবর এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, রাশিয়ার আগ্রাসন আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পূর্ব-ইউরোপ। ইতিমধ্যে লিথুয়ানিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়ার ইউক্রেনে ঢুক পড়ার পরেই।
advertisement
অন্য দিকে ভারতের কাছে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানাল রাশিয়ার হামলার মুখে পড়া ইউক্রেন। ইউক্রেনের (War In Ukraine) তরফ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শক্তিশালী বার্তা থামাতে পারে রাশিয়াকে। রাশিয়া মোদির কথা শুনে বন্ধ করতে পারে যুদ্ধ। সেই কারণে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি রাশিয়াকে জানান মোদি। তেমনই অনুরোধ এসেছে ভারতের কাছে। যদিও ভারতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশ।
আরও পড়ুন - মোদির কথা শুনে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে রাশিয়া, ভারতকে অনুরোধ ইউক্রেনের
ইউক্রেনের তরফ থেকে ভারতের থাকা রাষ্ট্রদূত ইগর পোলিখা নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভাল সম্পর্ক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পৃথিবীর অন্য দেশের নেতৃত্বের কথা শোনার বিষয়ে সন্দেহ থাকলেও আমার মনে হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা ভ্লাদিমির পুতিন শুনবেন।
আরও পড়ুন - পাঁচ রুশ বিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস ইউক্রেনের এয়ারবেস
ভারতের অনেক পড়ুয়াই আটকে পড়েছে ইউক্রেনে। বেশ কয়েকটি বিমানে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হলেও বৃহস্পতিবার ভারতের একটি বিমান আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মাঝপথ থেকেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে অনেকেই আটকে পড়েছেন সে দেশে। ইউক্রেনে ভারতের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কিয়েভে না যেতে। ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁসা শহরগুলিতে থাকতে। বাড়ির বাইরে বার না হতে।