আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশ ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোরসির বিরুদ্ধে। সোমবার ওই মামলার শুনানি চলছিল মিশরের রাজধানী কায়রোর একটি আদালতে।প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে মোরসির যোগ নিয়ে আইনজীবীদের তর্কাতর্কি পৌঁছায় তুঙ্গে। সওয়াল-জবাব শেষে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বয়ানও রেকর্ড করার কথা ছিল। তার মাঝেই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ সংজ্ঞা হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন মোরসি। তড়িঘড়ি তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। মৃত্যু হয় এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ একনায়ক তথা আরব বসন্তের ঢেউয়ে ক্ষমতায় আসা বিতর্কিত চরিত্র মহম্মদ মোরসির। মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিকভবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন মোরসি।
advertisement
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্য-প্রাচ্যের দেশগুলিত একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পরে প্রবল সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। টিউনিসিয়া থেকে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পরে মধ্য-প্রাচ্যের দেশ-লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া ও বাহরাইনে। এদিকে, প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী উত্তাপে ফুটতে থাকে মিশরও। প্রবল জনরোষে পরে ২০১১ সালে গদি হারাতে হয় দেশটির চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হুসনি মুবারককে। তারপরই ২০১২ সালে ক্ষমতায় আসেন বর্তমানে নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মহম্মদ মোরসি। তবে পূর্বসূরীর মতোই সেদেশের সংবিধান সংশোধন করে অসীম ক্ষমতা নিজের কুক্ষিগত করেন তিনি। ফলে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ, রাস্তায় নেমে পরে জনতা। অবশেষে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় মোরসির রাজনৈতিক জীবন। এদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। উপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়ে পরিকল্পনামাফিক মোরসিকে হত্যা করা হয়েছে বলেই অভিযোগ জানিয়েছে তাঁরা।