মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৭১ সালে শিশুকন্যাকে দেখভালের জন্য বেবিসিটার চেয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন মেলিসার মা অ্যাল্টা অ্যাপানটেকো। তার পরই পাওয়া যায় বেবি সিটারকে। কিন্তু অভিযোগ, সে-ই অপহরণ করে ছোট্ট মেলিসাকে। এর পর তার সন্ধানে দায়ের করা হয় অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা এক মুহূর্তের জন্যও তাঁকে ভোলেননি। পরবর্তীতে তাঁর নামে খোলা হয় ফেসবুক পেজ ফাইন্ডিং মেলিসা হাইস্মিথ।’ শেষ পর্যন্ত এ বছর মার্চে পরিবারের কাছে খবর আসে, মেলিসা আছেন চার্লস্টনে।
advertisement
সেই সূত্র ধরে খোঁজ নিয়েই অবশেষে সন্ধান পাওয়া গেল মেলিসার। ডিএনএ টেস্ট এবং জন্মদাগ মিলিয়ে সকলে নিশ্চিত হলেন ইনিই তাঁদের হারানিধি। ৫১ বছর পর পরিবারের মাঝে ফিরলেন মেলিসা। পারিবারিক গির্জায় অনুষ্ঠিত হল মিলনোৎসব৷
আরও পড়ুন - ৯ জন স্ত্রীর মধ্যে ১ জনকে ডিভোর্স, আরও বিয়ে করতে চান এই ব্রাজিলীয় মডেল
মেলিসার দিনি ভিক্টোরিয়া গার্নার বলেছেন, ‘‘আমি উচ্ছ্বসিত৷ আমি এখন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এটা ভেবে যে আমার বোনকে খুঁজে পেয়েছি অবশেষে এবং সে আমার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷’’
আর এক দিদি শ্যারনের সঙ্গে আগামী বড়দিনে দেখা হবে মেলিসার৷ তার জন্য আমেরিকা থেকে স্পেনে যাবেন তিনি৷ স্পেনবাসী শ্যারন জানিয়েছেন বোনকে ফিরে পেতে তাঁরা আইনের সাহায্য নিয়েছেন ঠিকই৷ কিন্তু তাঁদের ব্যক্তিগত অনুসন্ধানই ফিরিয়ে দিয়েছে হারিয়ে যাওয়া বোনকে৷ তবে আপাতত আর পুরনো কথা ভাবতে চায় না হাইস্মিথ পরিবার৷ এখন সময় শুধু বোনের সঙ্গে উদযাপন ও হারিয়ে যাওয়া ৫০ টা বছর ফিরে পাওয়া৷