সূত্রের খবর, আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখ থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেনিয়া। ব্রিটিশদের হাত থেকে কেনিয়ার স্বাধীনতা লাভের ৬০ বছরপূর্তিতে এই ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। তিনি বলেন যে, “কেনিয়ায় আসার জন্য এখন থেকে দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তের যে কোনও মানুষের আর ভিসার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হবে না। মূলত দেশের প্রধান পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ। আর এর ফলে পর্যটকরা ঝঞ্ঝাটমুক্ত ভাবে ওয়াইল্ডলাইফ সাফারি এবং সৈকতযাপন উপভোগ করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রয়াত বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল, প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ মমতার
এখানেই শেষ নয়, প্রবেশ প্রক্রিয়া আরও সহজতর করার জন্য কেনিয়া ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশনের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে। যার ফলে ভিসা আবেদন করার আর প্রয়োজন হবে না। যদিও গোটা মহাদেশ জুড়ে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের প্রচারের জন্য আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)-এর উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর আগেই আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)-এর অন্যান্য সদস্য দেশগুলির জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল। প্রসঙ্গত চলতি বছরের গোড়ার দিকে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম এই ভিসা-ফ্রি ভ্রমণের বিষয়টা চালু করেছিল।
কেনিয়ায় কী কী দেখা যেতে পারে?
এখানকার সবথেকে বড় আকর্ষণ হল মাসাই মারা সাফারি। এর পাশাপাশি সিম্বা সাফারি, টেম্বো সাফারি, ট্যুইগা সাফারি-সহ আরও নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: রান্না হয় বাংলাদেশে কিন্তু খেতে বসেন ভারতের মাটিতে, এ এক আজব বাড়ি
মাসাই মারা:
দক্ষিণ-পশ্চিম কেনিয়ায় জীববৈচিত্র্যের মূল আকর্ষণ ছিল মাসাই মারা ন্যাশনাল রিজার্ভ। চোখ জুড়োনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণের পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ ওয়াইল্ড বিস্ট এবং জেব্রার মাইগ্রেশন এখানে দেখার মতো।
সিম্বা সাফারি:
সিম্বা সাফারিতে উপভোগ করতে পারবেন বনের রাজা সিংহের নানা দৃশ্য। অ্যাম্বোসেলি থেকে শুরু হয় এই সাফারি। এখান থেকেই পর্যটকরা মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর ঝলকও পেতে পারেন। লেক নাকুরুতে চোখে পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ফ্লেমিঙ্গোর প্রাণবন্ত ও রঙিন দৃশ্য। এই সাফারি সবশেষে মাসাই মারার সমতলভূমিতে পৌঁছে দেবে।
টেম্বো সাফারি:
এই সাফারির মাধ্যমে কেনিয়ার বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। নাইরোবি থেকে শুরু হয়ে আবেডা জঙ্গল হয়ে এই সাফারি পৌঁছবে সাম্বুরু এবং শাবা রিজার্ভের বন্য ভূখণ্ডে।