আদালতে জানানো হয়েছে যে, কীভাবে শিক্ষিকা ছেলেটির কাছে তার ফোন চান এবং সেখান থেকে স্নাপচ্যাটে তার অ্যাকাউন্টে খোলেন। এর পরে, শিক্ষিকা নিয়মিত সেখান থেকে ছেলেটিকে মেসেজ দিতে শুরু করলেন।
তিনি স্ন্যাপচ্যাটে ছেলেটির একটি নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিলেন। এর পরে, তাদের মধ্যে দু’বার যৌন মিলন হয়৷ একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছেলেটিকে যেতে হয় কারণ ক্রমাগত তাকে হুমকি দিতে থাকে ওই শিক্ষিকা৷ এমনকি ছেলেটির নগ্ন ছবি স্কুলের সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া মারফত৷ স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেখে ফেলেন সেই ছবি। এরপরই ঘটনা সামনে আসতে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়৷
advertisement
যদিও প্রথমে ছেলেটি শিক্ষিকের সঙ্গে যৌনতার বিষয় প্রথমে অস্বীকার করে৷ পুলিশি তদন্তের সময় ছেলেটি অফিসারদের জানায় যে, আমি আগে মিথ্যা বলেছিলাম কারণ শিক্ষিকা আমায় জানান যে তিনি আমার দ্বারা গর্ভবতী হয়েছিলেন৷ এবং এই বলে হুমকি দিতেন৷ ফলে আমি তার কাছে যেতে বাধ্য হয়ে পড়ি৷ এরপর ছেলেটি তাকে জিজ্ঞাসা করে যে তিনি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনবেন কি? তার উত্তর সঠিক ভাবে দেননি শিক্ষিকা৷ তখনই সন্দেহ হয় পড়ুয়ার, সব যোগাযোগ বন্ধ করে সে৷
আইনজীবী জানান, যে প্রথমে শিক্ষিকার সঙ্গে যৌনতায় খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিল ছেলেটি৷
৩৫ বছর বয়সী ক্যান্ডিস বারবার ১৫ বছর বয়সী ছেলের কাছে নানা উত্তেজক ছবি পাঠাতেন বলে স্বীকার করেছেন৷ প্রাথমিকভাবে, যৌনতার কথা তিনি অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি জানান যে তার স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল ছিল না। তিনি গর্ভপাতও করান, যা নিয়ে তিনি খুব দুঃখী ছিলেন৷ এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৫ বছরের কিশোরকে যৌন নির্যাতন করা, তাকে যৌন মিলনের জন্য প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে৷