দুই মডেলের গ্রেফতারির পর তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় ৫০ জন মেয়ে কাজ করত মরিয়ম আক্তার মৌ নামের এই উঠতি মডেল। ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দেওয়া তথ্য মতই রবিবার রাতে মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয় মৌকে। আর এরপরই উঠে আসে একের পর এক তথ্য।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, ঢাকার বারিধারায় একটি অভিজাত আবাসানের দ্বিতীয় তলায় মাসিক ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ভাড়ার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন পিয়াসা। রবিবার রাতে সেখানেই অভিযান চালিয়ে প্রচুর মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পিয়াসাকেও। এরপর পিয়াসার বয়ানের উপর ভিত্তি করেই গ্রেফতার করা হয় মৌকে।
পিয়াসা জানায়, প্রায় ৫০ জন মেয়ের একটি গ্যাং কাজ করত মৌ-র আন্ডারে। ধনীব্যক্তিদের টার্গেট করে প্রথমে পার্টি করার নাম করে বাড়িতে ডেকে আনা হত। অভিযোগ, তারপর তাঁদের সঙ্গেই সেই সমস্ত মেয়েদের গভীর মেলামেশার ভিডিও করা হত। পরবর্তীতে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে তাঁদের থেকে টাকা আদায় করত মৌ।
পিয়াসাকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পেরেছে, মোহাম্মদপুরে পাঁচতলা বিশাল বাড়ি রয়েছে মৌয়ের। সঙ্গে নামী ব্র্যান্ডের তিনটি দামি গাড়িও রয়েছে। মাদক মামলায় মৌকে গ্রেফতার করা হলেও, এই ঘটনার পেছনে আরও বড় কোনও রাঘববোয়ালদের যোগাযোগ আছে কিনা এবং থাকলেও তা কতোটা? এইসব প্রশ্নই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।