অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মার্টিনের এই ম্যাজিক দেখানোর ভিডিওটি শেয়ার করেছে Guinness World Records। পোস্টটি শেয়ার হওয়ার পর থেকেই মার্টিনের প্রতিভাকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ১,৩০০-র বেশি লাইক পড়েছে ভিডিওয়। মার্টিনের এই নতুন রেকর্ডের জন্য পোস্টের কমেন্ট বক্সে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে।
https://www.facebook.com/watch/?ref=external&v=812105106024075
Times Now-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শৈশবে একবার জলে ডুবে গিয়েছিলেন মার্টিন। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। জলের ভয় অতিক্রম করতেই এই আন্ডারওয়াটার ম্যাজিক শেখা। মার্টিনের কথায়, আজ শৈশবের সেই ভয়কে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। কারণ জলের নিচে নানা রকমের ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে বারবার একাধিক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে তাঁকে। অবশ্য, এর পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুদের বিনোদনের জন্যও কাজ করেন মার্টিন। এখান থেকেও সব সময়ে অনুপ্রেরণা পান তিনি। নিজের সাফল্য সেই চ্যারিটি প্রোগ্রাম স্প্রেড আ স্মাইল-কেও উৎসর্গ করেছেন তিনি। মার্টিন জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জেরে হাসপাতালে যেতে পারছেন না। তাই শিশুদের সঙ্গে দেখা করা হয়ে ওঠে না। তবুও খুদেদের আনন্দ দিতে সপ্তাহে দু'-একটি অনলাইন শো করেন তিনি।
advertisement
জলের নিচে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে সমস্যা হয় না? মার্টিনের কথায়, জলের নিচে ম্যাজিক দেখানো বেশ কঠিন। সাধারণ মানুষের চোখে কোনও বিষয় ধরা পড়ার আগেই হাতের মুভমেন্টে নানা ম্যাজিক ট্রিক দেখাতে হয়। কিন্তু জলের নিচে এতটা গতিতে হাতের কারসাজি করা সহজ বিষয় নয়। এখানে হাত এদিক-ওদিক ঘোরানোর গতি কমে যায়। অধিক বলপ্রয়োগও করতে হয়।
তবে, এটি প্রথম রেকর্ড নয়। এর আগেও একাধিক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। রেকর্ড ফর মোস্ট কার্ড, মোস্ট ম্যাজিক ট্রিক ইন সিঙ্গল স্কাইডাইভ, মোস্ট ম্যাজিক ট্রিকস ইন ব্লাইন্ডফোল্ড, তিন মিনিটের মধ্যে একটি টানেলের মধ্যে সর্বাধিক ম্যাজিক ট্রিক দেখানোসহ একাধিক রেকর্ড রয়েছে মার্টিনের নামে।