কে এই মহরঙ্গ বালোচ?
১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করা মহরং বালোচ গোটা বিশ্বে ঘুরে ঘুরে বালুচিস্তানে পাক সেনা এবং সরকারের অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন৷ তিনি নিজে পেশায় একজন চিকিৎসক৷ বালোচ ইয়াকজেথি কমিটির নেত্রীও মহরং বালোচ৷ বালুচিস্তানে পাক নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যালীলারও নিন্দা শোনা যায় তাঁর মুখে৷ বিশ্বের দরবারে মহরং বালোচ বার বার অভিযোগ করেছেন, বালুচিস্তানে পাকিস্তানি সেনা মহিলা, শিশুদের মারছে, খুন করছে৷ মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে৷ ঘরবাড়ি লুঠপাট করে আগুন লাগানো হচ্ছে৷ বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের গুম করার প্রতিবাদে ২০২২ ইসলামাবাদে একটি বড়সড় জমায়েত এবং মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন মহরং৷
advertisement
আমেরিকা, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলিতেও মহরঙ্গ বালোচের এই বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়৷ যা চাপ বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকারের উপরে৷
টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ জন উদীয়মান নেতানেত্রীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন মহরং বালোচ৷ বিবিসি-র ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলার তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি৷
তবে এই মুহূর্তে অবশ্য জেলবন্দি রয়েছেন মহরং বালোচ৷ বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে একের পর এক নিরপরাধ মানুষকে গুম করার প্রতিবাদে সরব হন মহরং বালোচ৷ এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান সরকার৷
মহরং বালোচের বাবা আব্দুল গফর বালোচ একজন বামপন্থী নেতা ছিলেন৷ ২০০৯ সালে পাকিস্তানি সেনা তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷ এর দু বছর পর তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়৷ ২০১৭ সালে মহরঙ্গের ভাইকেও অপহরণ করে তিন মাস অত্যাচার চালানো হয়৷ এর পরই মহরঙ্গ পাক সেনার বিরুদ্ধে সরব হন৷ খুব অল্প সময়ের মধ্যে বালুচিস্তান বিদ্রোহীদের মুখ হয়ে ওঠেন এই তরুণী৷
মহরং বালোচের জন্য বালুচিস্তানের বাসিন্দারা জীবন দিতে তৈরি৷ সেই জন্যই তাঁকে বালুচিস্তানের বাঘিনী বলা হয়৷ তাঁর গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান সরকার৷ বহু বার খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি৷ কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি, দমেননি মহরং৷ বরং তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে৷ মহরংয়ের পরিবারের অভিযোগ, জেলে গিয়ে মহরংয়ের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না৷