তথ্য অনুযায়ী, মাগাওয়া তার ৫ বছরের বোমা স্নিফিং কেরিয়ারে হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়েছিল। মাগওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় ল্যান্ডমাইন শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মাগওয়াকে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল যাতে সে মাইন শনাক্ত করতে পারে এবং আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জানাতে পারে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই ইঁদুর ৭১টি ল্যান্ডমাইন এবং ৩৮টি লাইভ বিস্ফোরণ শনাক্ত করে হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- চিনের অত্যাচার! করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলেই বন্দি ছোট্ট খাঁচায়, দেখুন ভয়ানক ভিডিও
মাগওয়াকে তার উজ্জ্বল কেরিয়ারের জন্য 'ব্রিটিশ চ্যারিটি' থেকে একটি পদক পেয়েছিল। এমনকী প্রাণীদের জন্য ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার শীর্ষ পুরস্কার, যা একচেটিয়াভাবে কুকুরদের দেওয়া হত, সেটিও শেষমেশ মাগওয়াকে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে যখন মাগওয়াকে কম্বোডিয়ায় আনা হয়েছিল, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। মাগাওয়াকে বেলজিয়ামের একটি অলাভজনক সংস্থা APOPO দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- পিঁপড়ে খেলে সত্যিই কি আয়ু বাড়ে? করোনার তৃতীয় ঢেউতেও পিঁপড়ের চাটনি হিট
একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাগওয়া ১.৪ লক্ষ বর্গ মিটারেরও বেশি জমি অনুসন্ধান করেছে। যা প্রায় ২০টি ফুটবল মাঠের সমন। বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে এই ইঁদুর। সারা বিশ্বে এই ইঁদুরের পরিচিতি ছিল। তাই মাগাওয়ার মৃত্যুতে অনেকেই হতাশ। সারা বিশ্ব মাগাওয়াকে তার সাহসিকতার জন্য স্মরণ করছে। বহু মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য মাগওয়াকে শেষ সম্মানও জানানো হয়েছে। ঠিক যেমনটা জানানো হয় কোনও যোদ্ধাকে। ইঁদুরের এমন বিচক্ষণতা বিরল। আর মাগওয়া ছিল একটি বিরল প্রজাতির ইঁদুর।