পুলিশ ও বন্দর সূত্রে খবর, গত সোমবার মাদাগাস্কারের উত্তর-পূর্ব উপকূলের কাছেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার কারণ স্পষ্ট নয়। উদ্ধার কাজ চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জন যাত্রীর। মঙ্গলবার আরও ১৮ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সিনিয়র অফিসারের কোলে বসে অশ্লীল নাচ মহিলা পুলিশকর্মীর! তুমুল ভাইরাল ভিডিও
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সোমবার সকালে উত্তর-পূর্ব উপকূলে একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনের কাজে রওনা হয়েছিল একটি দল। সেই দলেই ছিলেন দেশের পুলিশ দফতরের সেক্রেটারি অফ স্টেট সার্জ গেলও। কিন্তু মাঝ পথে আচমকাই ভেঙে পড়ে যাত্রিবাহী হেলিকপ্টারটি। এর পরই যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। একে একে যাত্রীদের দেহ উদ্ধার হয়। আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু দেখা যায়, মঙ্গলবার সকালে সার্জ গেল এবং আর এক জন পুলিশ অফিসার আলাদা আলাদা ভাবে সমুদ্রতীরবর্তী শহরতলি মাহাম্বোয় এসে পৌঁছেছেন। জানা যায়, প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁরা সাঁতার কেটে তবেই তীরে পৌঁছতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন : মানুষের মাংস খেলে নাকি সারবে মাথার রোগ ! আমেরিকায় গ্রেফতার ‘নরখাদক’
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, ৫৭ বছর বয়সি মন্ত্রী সার্জ বিধ্বস্ত অবস্থায় একটি ডেক চেয়ারে শুয়ে রয়েছেন। তখনও তাঁর গায়ে সেই ক্যামোফ্লেজ উর্দি। তিনি বলেন, “আমার মৃত্যুর সময় এখনও আসেনি।” শুধু তা-ই নয়, তিনি এ-ও বলেন যে, “আমার ঠাণ্ডা লাগছে, কিন্তু আমি কোনও আঘাত পাইনি।”
আরও পড়ুন : মেয়ে আর বাবার বিয়ে? দম্পতিকে ঘিরে এ কী নিয়ে চলছে আলোচনা !
পুলিশের প্রধান সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, সমুদ্রে ভেসে থাকার জন্য ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারের একটা আসন ব্যবহার করেছিলেন সার্জ। মন্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, বরাবরই খেলাধূলায় দারুণ সার্জ। তাঁর মনোবল, সহনশীলতা অতুলনীয়। আর মন্ত্রী পদে বসেও সেই ছন্দটাই ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি। ঠিক যেন ৩০ বছরের যুবক! একটা কথা বলতেই হবে যে, তাঁর স্নায়ুবল এতটাই দৃঢ়, যেন লোহা দিয়ে গড়া!