বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটদানের সময় ছিল৷ ফলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে৷ মোট ভোটার ছিল প্রায় ১২ কোটি৷ কিন্তু বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকারই প্রয়োগ করলেন না বাংলাদেশের সিংহভাগ ভোটার৷ ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে শুরু হয়েছে ভোট গণনা৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পঞ্চম বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ভুলে গেছি’, নজরুলের কবিতা বলতে গিয়ে থমকালেন মীনাক্ষী! কী ঘটল ব্রিগেডে?
ভোটদানের হার সবথেকে কম ছিল রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে৷ সেখানে সকালের দিকে প্রথম কয়েকঘণ্টায় কোথাও কোথাও মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ ভোট পড়ে৷ কোথাও কোথাও প্রথম দু ঘণ্টায় একশো জন ভোটারেরও দেখা মেলেনি৷ তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটদানের হার কিছুটা বাড়ে৷ ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলাগুলিতেও ভোটদানের হার যে খুব বেশি ছিল, এমন নয়৷ তার উপর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিভিন্ন অশান্তির ঘটনার জেরেও ভোটদানের হার আরও কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ভোটদানের কম হার নিঃসন্দেহে শাসক দল আওয়ামি লিগের কাছে অস্বস্তিকর৷ কারণ ভোটে শেখ হাসিনার দলের জয় একরকম নিশ্চিত৷
বিএনপি সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল ভোট বয়কট করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে ভোটদানের হার কম হলে তাদের জয়ে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন হয়নি বলে বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলবে, তা ভালই জানেন আওয়ামি লিগের নেতারা৷ বাংলাদেশের স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এমনিতে অধিকাংশ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ফাঁকা থাকলেও বিদেশী পর্যবেক্ষক আসার ঠিক আগে ঢাকার একটি স্কুলে ভোটারদের লম্বা লাইন তৈরি হয়ে যায়৷ আবার পর্যবেক্ষক ফিরে যেতেই উধাও হয়ে যান সেই ভোটাররা৷