সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট-এর থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, লাহোর এবং ইসলামাবাদ-সহ একাধিক বড় শহরে শাক-সবজি ও ফলের দাম বেড়ে গিয়েছে। ফলে এখন ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং টম্যাটো আমদানির পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান সরকার।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহও হচ্ছে কম। এই কারণে খুচরো বাজারে ফল এবং সবজির দাম হু হু করে বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, রবিবার লাহোরের বাজারে প্রতি কেজি টম্যাটো ৫০০ টাকা এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০০ টাকা হয়ে যায়। লাহোরের এক জন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেছেন যে, দেশের কিছু কিছু অংশে এই দুই সবজির পাইকারি দাম ১০০ টাকা হলেও বাজারে যেতে যেতে দাম প্রায় চার-পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন যে, বালুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতির কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগামী দিনে দাম আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পার্থ-অনুব্রত-ববি চোর, আর আপনারা সাধু!', গ্রেফতারির পর এই প্রথম মমতার মুখে পার্থর নাম
এমনকী প্রতি কেজির দাম ৭০০ টাকায় পৌঁছনোর সম্ভাবনা
পাইকারি ব্যবসায়ী জাওয়াদ রিজভী বলেন যে, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় তৈরি হওয়া এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় দ্রুত কোনও কার্যকর পদক্ষেপ না-করা হলে এখানে টম্যাটো এবং পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৭০০ টাকায় পৌঁছে যাবে। নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি আলুর দামও ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়ে গিয়েছে।
ওয়াঘা সীমান্ত থেকে পেঁয়াজ-টম্যাটো নিয়ে আসা হবে
বর্তমানে তোরখাম সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ এবং টম্যাটো আসে লাহোর এবং পঞ্জাবের শহরগুলিতে। কিন্তু অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পাকিস্তান সরকার এখন ভারত থেকে তা আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়েই এই সবজি আমদানি করা হবে। লাহোর বাজার কমিটির সচিব শাহজাদ চিমা বলেন, তোরখাম বর্ডার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কন্টেনার টম্যাটো এবং ৩০ কন্টেনার পেঁয়াজ আনা হয়।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে মামলা হাই কোর্টে, ২০১৩ সালের উল্লেখ!
ভারতই বিকল্প কেন?
পাকিস্তান বর্তমানে আফগানিস্তান থেকে পেঁয়াজ-টম্যাটো আমদানি করছে, যা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। ইরান থেকে শাক-সবজি কেনার বিকল্প রয়েছে পাকিস্তানের হাতে। তবে ইরান সরকার রফতানি কর বাড়িয়ে দেওয়ায় সরকারের জন্য তা ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। অথচ অন্য দিকে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করলেই শুধুমাত্র খরচটা কম হবে।