সত্য শেষ হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন। নিন্দুকরাও মানতে বাধ্য হবেন, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েনি ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের শহর ডেলাওয়ালরের উইলমিংটনে বিজয়ীর ভাষণ দিতে ওঠেন জো বাইডেন। বক্তৃতার শুরুতেই বাইডেন বুঝিয়ে দেন আমরা ওঁরার ভাগ চান না তিনি। তাঁর কথায়, ওঁরা আমাদের শত্রু নয়, বিরোধীরাও আমেরিকানই। ভাঙনের কথা না বলে একতার কথা বলা যায়। সকলেই সকলকে সুযোগ দিই। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর অনুরোধ, এবার উষ্ণতা প্রশমিত করতে হবে। বাইডেন ডাক দিলেন, এবার মার্কিন আর্থিক অসঙ্গতির পালা শেষ হোক।
advertisement
বাইডেন শনিবারই বলেছিলেন প্রথম দিন থেকে করোনা মোকাবিলার কাজ করবেন। এই কাজে ট্রাম্পের ব্যর্থতাই তাঁকে গদিতে বসিয়েছে। এদিনও উঠে এল সেই কথা। ২ লক্ষ ৩৭ হাজারেরও বেশি মার্কিনির মৃত্যু হয়েছে গত কয়েক মাসে। আর মৃত্যু চাননা বাইডেন। সেই প্রসঙ্গেই জানালেন, সোমবার থেকেই অগ্রণী বিজ্ঞানীদের নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কাজে নেমে পড়বে।
এদিন বাইডেন ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সময়ে দেশের অ্যাফ্রো আমেরিকানদের ধন্যবাদ দেন। বাইডেন চান এই আমেরিকা বিশ্বের সামনে আবার নজির গড়ুক।
হুহু করে আবার সংক্রমণ বাড়ছে আমেরিকায়। সকলের কপালেই চিন্তায় ভাঁজ। রয়েছে সামাজিক দূরত্ববিধির চাপও। তবুও বাইডেনের কথা শুনতে এসেছিলেন বহু মার্কিন নাগরিক। ৩৬০ টি গাড়ি করে নানা অঞ্চল থেকে পতাকা হাতে তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন ডেলাওয়ালারের মাঠে। জয়ের পর এই প্রথম তাঁর গোটা বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হল। সহযোদ্ধা তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেই সুর মিলিয়ে মানুষ বলল, জো বাইডেন একজন শুশ্রুষাকারী। বাকিটা সময়ের হাতে ছাড়া রইল।