সেই খদ্দেরদের মধ্যে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই। শুধু আছে প্রথমবার আসা খদ্দের এবং নিয়মিত খদ্দেরদের তফাত। তবে এই দুই দল-ই আব্বাসকে দিয়ে চুল কাটানোর ব্যাপারটা দারুণ ভাবে উপভোগ করেন। লাহোরে আসা বিদেশিরাও যে এই অভিনব হেয়ার কাটিংয়ের রোমাঞ্চ গ্রহণ করতে পিছ-পা হন না, তা আব্বাসের সালঁয় নিয়মিত বিদেশি খদ্দেরের আনাগোনা প্রমাণ করে দেয়। আসলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আব্বাসের কীর্তিকলাপ তুলে ধরেছিল। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন তিনি। YouTube ভিডিওয় আব্বাসের হাতের কাজ দেখে প্রথমটায় একটু বুক কেঁপে উঠতে পারে বইকি, কিন্তু তার পরেই তাঁর হাতের গুণ দেখে এক ছুটে চুল কাটতে যেতে ইচ্ছে করবে!
advertisement
প্রাথমিক ভাবে এই ভয় পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আব্বাসের এক মহিলা খদ্দের। আব্বাস মাংস কাটা বড় ছুরি দিয়ে ঠিক যে ভাবে কিমা করে, সেই স্টাইলে তাঁর চুল কেটেছিলেন। ওই মহিলা জানিয়েছেন যে এখন তিনি আব্বাসের কার্যকলাপে অভ্যস্ত এবং ধরনটা তাঁর পছন্দ হয়েছে। এবার থেকে আব্বাসের সালঁতে ফিরে আসতে যে তাঁর দ্বিধা থাকবে না, তা জানিয়েছেন তিনি। তেমনই যে খদ্দেরের চুলের লেয়ার আগুন লাগিয়ে এবং ধারালো কাচের টুকরোর সাহায্যে সাজানো হয়েছে, তাঁর মুখেও দেখা গিয়েছে খুশির আলো। আর এই প্রসঙ্গে কেবল একটাই কথা বলেছেন আব্বাস- প্রতিভা, অভ্যাস আর ঈশ্বরের অনুগ্রহকে সম্বল করেই চুল কাটার নিত্য নতুন উপায় বের করেন তিনি। এতে কাজের একঘেয়েমি যেমন কাটে, তেমনই নানা নতুন কাট-ও আবিষ্কার করা যায়।