এই গবেষণায় সাফল্য পাওয়ার জন্য সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ( Seoul National University) ও নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির (Columbia University) সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ শুরু করে কোরিয়া ইনস্টিটিউট অফ ফিউশন এনার্জি (KFE)। শেষমেশ ২৪ নভেম্বর সেই সাফল্যের দিন উপস্থিত হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মোট ২০ সেকেন্ডের জন্য কৃত্রিম সূর্যকে সক্রিয় রাখা সম্ভব হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই এক বিশ্ব রেকর্ড।
advertisement
বলা বাহুল্য, এই বছরের প্লাজমা অপারেশন আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৯ সালে মাত্র ৮ সেকেন্ডের জন্য কাজ স্থায়ী ছিল প্লাজমা অপারেশন। সেই জায়গায় এই বছর ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে প্লাজমা অপারেশন। বিজ্ঞানীদের তরফে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে প্রথমবার ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল KSTAR। কিন্তু সেই প্লাজমা অপারেশন স্থায়ী ছিল মাত্র ১.৫ সেকেন্ডের জন্য।
https://www.youtube.com/watch?v=L5XVQuA0Mto&feature=emb_title
এই প্রোজেক্টটি সম্পূর্ণ করার জন্য KSTAR নামে একটি ফিউশন ডিভাইজের মধ্যে হাইড্রোজেন আইসোটোপকে রাখেন বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য ছিল একটি প্লাজমা স্তর তৈরি করা। যার মধ্যে আয়ন ও ইলেকট্রনগুলিকে আলাদা করা যেতে পারে। এবং পরে আয়নগুলিকে উত্তাপ দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ এমন একটি জায়গা তৈরি করা হয়েছে, যেখানে আয়নগুলিকে উচ্চতর তাপমাত্রায় রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে KSTAR নামের অ্যাডভান্স রিঅ্যাক্টরটি উচ্চ তাপমাত্রার প্লাজমাকে একটি অবয়ব দিতে মূলত চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে ব্যবহার করে থাকে। গবেষণা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত হাইড্রোজেন পরমাণুকে কাজে লাগিয়েই নিউক্লিয়ার ফিউশন তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০৮ সালে KFE পরিচালিত KSTAR তার প্লাজমা অপারেশন করতে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে একবারে প্রায় ৩০০ সেকেন্ডের জন্য এই প্লাজমা অপারেশনটিকে স্থায়ী করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।