কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কলেজের কাছে, প্রেসক্লাবের সামনে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম শরীফ। তিনি শ্রীমঙ্গলের শহরতলির শাহজিবাজার এলাকার শায়েস্তা মিঁয়ার সন্তান।
কিন্তু বাংলাদেশের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে ওই যুবক রাস্তায় পড়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। রাস্তাতে শুয়েই তিনি নিজের নাম যেমন জানাচ্ছেন, তেমনি শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা সজীব নামের এক ব্যক্তি তাঁকে ছুরি মেরেছেন বলেও দাবি করছিলেন তিনি। নিজের পরিবারের পরিচয়ও তিনি দিয়েছিলেন যন্ত্রণায় ছটফট করতে-করতেই।
advertisement
কিন্তু কেন ঘটল এমন ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শরীফ ও তাঁর বন্ধু অভিযুক্ত সজীব শনিবার বিকেলে শহরের একটি হোটেলে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা ছিলেন। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হোটেলে ঢুকে আবার চারটে নাগাদ তাঁরা বেরিয়েও যায়। সন্ধার সময় তাঁদের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। সেই ঘটনার সূত্রেই শরীফকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সজীব, প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্ত সজীব এখন পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু যে প্রশ্নটি পাশাপাশি উঠছে, এত মানুষ শরীফকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে গেলেন না কেন? মানুষের অমানবিক হয়ে ওঠার আরেকটা নিদর্শন নয় তো?