সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনীতিক চ্যাং-সং-মিন জানান যে, অসুস্থ বা সেনা অভ্যুত্থানের ফলে সরে না গেলে উত্তর কোরিয়ার কোনও শাসকই নিজের ক্ষমতা বা গদি ছাড়েন না৷ এই তত্ত্বের থেকেই তিনি জোর দিয়ে বলেন যে কিম-জং খুবই অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী৷ সে কারণে এভাবে বোনের হাতে দেশের শাসন ভার তুলে দিয়েছেন তিনি৷ নচেৎ কোনও পরিস্থিতিতেই তখত্ থেকে তিনি সরতেন না৷
advertisement
এমনকি গত কয়েক মাস ধরে যে সব কিমের ছবি প্রকাশিত হচ্ছে, তা জনগনের চোখে ধুলো দিতেই৷ কোনও ছবি আসল নয় বলে দাবি করেন চ্যাং-সং-মিন৷ আমার অনুমান, কিম কোমায় রয়েছেন, তবে তাঁর মৃত্যু হয়নি৷ এখনও পুরোপুরি উত্তরাধিকারের পর্ব চূড়ান্ত হয়নি৷ তাই কিম-য়ো-জংকে সামনে আনা হয়েছে কারণ শাসক শূন্যভাবে দেশ চলতে পারে না৷ তবে যেহেতু কিম কোমায়, মারা যাননি, তাই অন্য কাউকে পুরোপুরি দেশের শাসক বলে চিহ্নিত করা হয়নি৷ বলছেন চ্যাং৷
আরও পড়ুন আমেরিকার ভোটে জিততে মোদির ওপর ভরসা ট্রাম্পের! বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে ভিডিও পোস্ট...
তবে উত্তর কোরিয়ার যে কোনও খবর, বিশেষ করে শাসন ব্যবস্থার খবরে গোপনীয়তা থাকে অতি মাত্রায়৷ ফলে আদৌ কিম-জং শারীরিক অবস্থা কেমন, তা সঠিকভাবে কারও পক্ষেই জানা সম্ভব হয়নি৷
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে সদ্য দেশের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন কিম-জং৷ করোনার ফলে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে ধস নেমেছে৷ এমনকী দেশে খাবারের জোগানে কম পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় পোষ্য কুকুরদের মাংস হিসেবে ব্যবহার করতে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷