সেখানে দেখা যাচ্ছে বিশাল এলাকা জুড়ে সবুজ বিস্তীর্ণ গলফ কোর্সের ধারে বসে মুখে সিগারেট দিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত সেনাবাহিনীর অফিসাররা। হুইস্কি, রাম, বিয়ার, স্কচ উড়ছে দেদার। সেই ব্যারিস্টার লিখেছেন যে দেশের এমন অবস্থায় সেনাবাহিনী মানুষের কথা না ভেবে নিজেদের সম্রাট মনে করে সেই পাকিস্তানের হয়তো এটাই ভবিতব্য। মানুষ রুটি খেতে পারছে না। রোজগার নেই।
advertisement
সরকার অসহায়। মহিলারা রাস্তায় ভিক্ষে করছে। অথচ সেনা কর্তারা চোখ বন্ধ করে সব সহ্য করছেন। পাকিস্তানি হিসেবে নিজের লজ্জা লুকিয়ে রাখতে পারেননি ওই ব্যারিস্টার। ভারতে অনেক দুর্নীতি হলেও মন্দার দিনে দেশের রাজনৈতিক নেতা এবং সেনাবাহিনী এমন আচরণ করত না মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্যারিস্টার খালিদ।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে শেষ এক মাসে। এরকম অবস্থা যে হতে চলেছে তার আভাস অবশ্য আগে থেকেই ছিল। খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই, জ্বালানি নেই, এমনকি সেনাবাহিনীর খাবার পর্যন্ত কমে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাটাই মুশকিল। পাকিস্তানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যে কয়টি দাতা সংস্থা এগিয়ে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), বিশ্বব্যাংক এবং সৌদি আরব।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও ফ্রান্সও এ সহায়তায় অংশ নেবে। জেনেভায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি। বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে বড় অঙ্কের সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তিনি বলেন, এমন প্রতিশ্রুতি আমাদের আশাবাদী করেছে। আমরা এ–ও মনে করি যারাই দুর্যোগে পড়বে, বিশ্ব তাদের পাশে দাঁড়াবে।