গত মঙ্গলবার লেবাননে হিজবুল্লাকে নিশানা করে ঘটানো ধারাবাহিক পেজার বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ রিনসন জোস নিজে একজন উদ্যোগপতি৷ বুলগেরিয়ায় নোরটা গ্লোবাল নামে একটি সংস্থা রয়েছে তাঁর৷ অভিযোগ, যে পেজারগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলি ওই সংস্থাই লেবাননে সরবরাহ করেছিল৷ যদিও ওই পেজারগুলি হাঙ্গেরির একটি সংস্থা তৈরি করেছিল৷ পেজারগুলির তৈরির প্রযুক্তি ছিল তাইওয়ানের একটি সংস্থার৷ কিন্তু সন্দেহভাজন ওই পেজারগুলি কিনেছিল রিনসনের সংস্থা নরটা গ্লোবাল৷
advertisement
আরও পড়ুন: শেষ দেখা গিয়েছিল আরজি করের সেমিনার রুমে, এবার সিবিআই দফতরে হাজির সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক
লেবাননের এই পেজার বিস্ফোরণের সঙ্গে রিনসন জোস নামে ওই যুবক সরাসরি যুক্ত কি না তার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি৷ লেবাননে এই হামলার পিছনে প্রাথমিক ভাবে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ পেজারগুলির ভিতরে বিস্ফোরক ভরা ছিল বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে৷ ডেইলি মেল-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সংস্থা লেবাননে ওই পেজারগুলি সরবরাহ করেছিল, তারাই ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পেজারগুলিতে বিস্ফোরক ভরে থাকতে পারে৷ নরটা গ্লোবাল নামে ওই সংস্থাটি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের একটি ঠিকানায় নথিভুক্ত করা রয়েছে৷
যদিও রিনসন জোস এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন বলেই দাবি করেছেন তাঁর আত্মীয়রা৷ রিনসনের এক আত্মীয় থাংকাচেন সংবাদসংস্থা আইএনএস-কে জানিয়েছেন, আমরা নিয়মিত ফোনে কথা বলি৷ কিন্তু গত তিন দিন আমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি৷ ও খুবই সোজাসাপ্টা মানুষ এবং আমরা ওকে বিশ্বাস করি৷ ও এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকতেই পারে না৷ আমাদের ধারণা ওকে ফাঁসানো হয়েছে৷
রিনসন জোসের ওই আত্মীয় জানাচ্ছেন, ওই যুবকের স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে উচ্চশিক্ষার জন্য নরওয়েতে গিয়েছিলেন রিনসন জোস৷ এর পর কিছুদিন লন্ডনে থেকে ফের অসলোতে ফিরে আসেন তিনি৷ নিজের ব্যবসার পাশাপাশি অসলোতে কাজও করেন রিনসন৷ লন্ডনে রিনসনের এক যমজ ভাইও রয়েছেন৷