কাবুলের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা অন্তত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। আহত শতাধিক। অন্তত ১১ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তালিকায় অসংখ্য আফগান নাগরিক। বিমানবন্দরের বাইরে তৈরি করা নালায় একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সারাটা এলাকা জুড়ে শুধু আতঙ্ক, চিৎকার, হাহাকার। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা এলাকা। হাত, পা টেনে শুকনো জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন পরিবার-পরিজনেরা। দাঁড়িয়ে রয়েছেন মৃতদেহের উপরেই। বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের পর এমনই সব ভয়াবহ ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
advertisement
বিস্ফোরণের পরই বিমানবন্দরের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, সাধারণত এই কৌশলে হামলা চালিয়ে থাকে আইসিস অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী। কিছুদিন আগেই পেন্টাগন দাবি করে, নাগরিকদের দেশে ফেরানোর সময় কাবুল বিমাবন্দরে হামলা চালাতে পারে আইসিস। এমনকী আইসিসও এমন হুমকি দিয়েছিল বলে খবর। এর পরই বৃহস্পতিবার 'কমপ্লেক্স অ্যাটাক'-এর ধাঁচে হামলা হয় কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে।
ঘটনার পরই জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কাবুলে হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'এখনও পর্যন্ত তালিবান ও আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে কোনও যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা এই ঘটনা ক্ষমা করব না। আমরা এই ঘটনা ভুলবও না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব এবং এর ফল ভোগাব। আমরা মার্কিন নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করব। আমাদের মিশন চলবে।'