টোকিও: জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন। তিনি গত বছর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার নেতৃত্বাধীন জোট সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর থেকেই দলের ভেতরে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
গত সপ্তাহেই তার পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল, যদিও তখন তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় ইশিবা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং নিজের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-তে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে কিছু মাসের ব্যবধানে এলডিপি ও তাদের জোট সঙ্গী কোমেইতো সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়, এবং এরপর জুলাই মাসে উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তারা।
এলডিপির নেতৃত্বে বিভক্তি এড়াতে এবং আগামিকাল দলের বিশেষ নেতৃত্ব নির্বাচনের আগেই ইশিবা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন—এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
গত মঙ্গলবার ইশিবা বলেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পাদিত শুল্ক চুক্তি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করাই তাঁর অগ্রাধিকার। সে কারণেই তিনি তৎক্ষণাৎ পদত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাপান সফরেও দুদেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি সম্পন্ন করেছিলেন ইশিবা। তবে দলের অভ্যন্তরে চাপ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় শেষমেশ পদত্যাগের পথই বেছে নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এলডিপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের এই পরাজয়কে জাপানের রাজনীতিতে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিগেরু ইশিবার পদত্যাগের ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে কবে হবে, তা নিয়ে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি জাপানের শাসকদলের মধ্যে বড় রদবদলের ইঙ্গিত বহন করছে।