প্রসঙ্গত, ন মাস ধরে যুদ্ধতে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে জোড়পূর্বক ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে৷ তুলনামূলক ‘খান ইউনিস’ অঞ্চলকে নিরাপদ মনে করা হচ্ছিল৷
আরও পড়ুন: গাজার ‘সেফ জোনে’ বোমাবর্ষণ ইজরায়েল সেনার, নিহত প্রায় ৯২ জন
কিন্তু ইজরায়েল সূত্রে খবর, এখান থেকে সম্প্রতি পাঁচজন ইজরায়েলি বন্দির দেহ পাওয়া গিয়েছে৷ এর পর থেকে এই অঞ্চলেও যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে৷
advertisement
ইজরায়েলি সেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁরা ওই অঞ্চলে প্রায় ১০০ জন হামাসের জঙ্গিকে মারতে সক্ষম হয়েছে৷ সেন্ট্রাল গাজার একটা স্কুলে ইজরায়েলি বিমান হানায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, এর মধ্যে অনেকে শিশুও রয়েছে৷
ইজরায়েলি সেনা নিজেই খান ইউনিসের কয়েকটা জায়গাকে ‘নিরাপদ স্থান’ বলে ঘোষণা করেছিল৷ এবার তাঁরা একটা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই স্থানেও তাঁরা হামলা চালাবে৷
ইজরায়েলের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা ওখানকার স্থানীয় সাধারণ মানুষকে আগাম সতর্ক করতে চাইছি৷ ওই অঞ্চল নিরাপদ অঞ্চল ছিল৷ কিন্তু হামাস ওই জায়গা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছে৷ তাই আমরা ওখানে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করব৷ ওখানকার সাধারণ মানুষদের আগে থেকেই যুদ্ধস্থান ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সূত্রে জানা যাচ্ছে এর ফলে চারদিনে গাজার দক্ষিণে প্রায় ১ লক্ষ আশি হাজার বাসিন্দা ঠাঁই হারা হয়েছে৷ এমনিতেই শরণার্থী শিবির গুলো অপুষ্টি, চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছে৷ সেখানে কেবল চলছে প্রাণটুকু বাঁচানোর নিরন্তন লড়াই৷ এবার ‘নিরাপদ স্থান গাজার দক্ষিণও আর নিরাপদ রইল না৷
গাজার স্বাস্থমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গাজায় ইজরায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৯,১৭৫ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে