ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দা, এই দুই জঙ্গি সংগঠন করোনা ভাইরাসকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে ঠিকই কিন্তু তলেতলে এরা চাইছে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসের আতঙ্কের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, তারমধ্যেই একটা বড়সড় হামলা চালাতে। যাতে প্রশাসন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার সময় নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারে তারা। আল কায়দা মঙ্গলবার একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় অ–মুসলিমদের উচিত ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা করা। কিন্তু অন্য জঙ্গি সংগঠন আইএস তাদের মুখপত্রের জানিয়েছে, এই আতঙ্কের সময় কোনওভাবে ক্ষমার ভাবনা আনার কোনও প্রশ্ন নেই। যেখানে যে জিহাদিরা লড়াই করছে, সেখানেই তারা যেন সঠিক সময়ে ভয়ঙ্করতম হামলাটি করে।
advertisement
বলা হয়েছে এই বিশ্বজোড়া ভাইরাসের আতঙ্কের কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী যে সমস্ত অভিযান ছিল সেগুলোও এখন অনেকটা ঝিমিয়ে এসেছে। সেই কারণে এখনই বড়সড় হামলা চালানোর শ্রেষ্ঠ সময় বলে মনে করছে জঙ্গিরা।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই এসব নিয়ে বিশেষ চিন্তা ভাবনা করার প্রয়োজন নেই। কারণ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এই ভাইরাসের আতঙ্কে এখন কাঁটা হয়ে আছে। আন্তর্জাতিক স্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে অন্য জায়গা থেকে এসে হামলা করা মুশকিল। তাই আপাতত এসব নিয়ে না ভেবে করোনা ভাইরাস চিন্তার কারন হতে পারে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে আইএসআইএস–এর এই হুমকির কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড তাদের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী প্রকল্পে থাকা সেনাদের ইতিমধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। ফলে সেখানে নিরাপত্তার অভাব তৈরি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক না কমা পর্যন্ত সেই সমস্ত সেনা আধিকারিকদের আফ্রিকার দেশগুলোতে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাঠানো যাবে কিনা সন্দেহ। যদিও আফ্রিকার দেশগুলি বিভিন্নভাবে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং আমেরিকাকে আবেদন করেছে এই সময় সেনা তুলে না নিয়ে যেতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দেশের সেনাকে আফ্রিকায় রেখে দেওয়া এক কথায় অসম্ভব আর সেই সুযোগ নিতে চাইছে জঙ্গী সংগঠনগুলি, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।