চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মহম্মদ সাইফুল ইসলামের আদালতে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিকে ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র রাধারমণ দাস দাবি করেছেন, চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী রমেন রায়ের উপর হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। এখন আইসিইউতে ভর্তি আছেন চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী রমেন। গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করা হয়েছিল চিন্ময় প্রভুকে। তার আগেরদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ২৫ অক্টোবর একটি জনসভা হয়েছিল চট্টগ্রামে। সেটার প্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবরে চিন্ময় প্রভু-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়েছিল। আর তার পর ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। যে ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ সরব হয়েছে বিশ্ব। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও উত্তেজনা বেড়েছে।
advertisement
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেসের (ইসকন) সাবেক সদস্য প্রভুকে ২৫ নভেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চট্টগ্রামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
সূত্র জানায়, যে রবীন্দ্র ঘোষ নামে একজন আইনজীবী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আদালতের শুনানিতে অংশ নিতে আসেন। তবে, স্থানীয়রা তাঁকে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেননি।
‘জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী’– সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র লেখেন, ‘দয়া করে আইনজীবী রমেন রায়ের জন্য প্রার্থনা করুন। তাঁর একমাত্র দোষ ছিল যে তিনি আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর হয়ে লড়াই করেছিলেন। ইসলামপন্থীরা তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং তাঁর উপর নৃশংস হামলা চালায়। তার জেরে তাঁকে আইসিইউতে ভরতি হয়েছে। সেখানে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন (রমেন)।’
সেই পোস্টের সঙ্গে ‘বাংলাদেশি হিন্দুদের বাঁচান’ এবং ‘চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্ত করুন’ হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র। তবে তিনি যে দাবি করেছেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আপাতত কিছু জানানো হয়নি। শুধু চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে আজ আদালতে চিন্ময় প্রভুর মামলার শুনানি হবে।