উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার (Syria) ইদলিব প্রদেশের এই ঘটনায় আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম ছাড়াও তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন (Joe Biden)৷ আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা৷
বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে জো বিডেন লেখেন, 'গত রাতে আমার নির্দেশে মার্কিন সেনাবাহিনী সফল ভাবে সন্ত্রাস দমন অভিযান চালায়৷ আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতার ফলে আএস নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাসিমি আল কুরেইশিকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: পূর্ব ইউরোপে সাড়ে আট হাজারের বেশি সেনা আমেরিকার! চরম সতর্ক থাকতে বলল পেন্টাগন
পরে হোয়াইট হাউসে বিবৃতি দিতে গিয়ে বিডেন বলেন, 'কীভাবে গণহত্যা করে গ্রামের পর গ্রামকে মুছে দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার মহিলা এবং অল্প বয়সি মেয়েদের কৃতদাসী হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে, ধর্ষণকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে- সেই সমস্ত শিউরে ওঠার মতো কাহিনি আমাদের প্রত্যেকের মনে আছে৷ এসবের নেপথ্যে থাকা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী নেতা আর বেঁচে নেই৷'
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার বিশেষ বাহিনী তাঁকে ধরতে এগিয়ে আসছে এই বার্তা পেয়েই সপরিবারে নিজেকে উড়িয়ে দেন আইএল প্রধান আবু ইব্রাহিম৷ নিহতদের মধ্যে রয়েছে ছ'টি শিশু, চারজন মহিলা সহ মোট তেরো জন৷ আবু ইব্রাহিমের পূর্বসূরী আবু বকর আল বাগদাদিও ২০১৯ সালে একই পরিস্থিতিতে মার্কিন বাহিনীর সামনে পড়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন৷
আরও পড়ুন: ফাঁসির সাজা হয়েছিল ২০ বছর আগে, তারপর থেকেই বেপাত্তা এই ব্যক্তি! কী করছিল জানেন?
রিপোর্টে আরও প্রকাশ, ইদলিব প্রদেশে সিরিয়া- তুরস্ক সীমান্তের কাছে আতমেহ-তে একটি বাড়িতে আবু ইব্রাহিম লুকিয়ে আছে খবর পেয়ে অভিযানে চালায় মার্কিন সেনা৷ প্রায় দু' ঘণ্টা আইএস বাহিনীর সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই চলে৷ এর পরেই বিস্ফোরণ ঘটান আইএস প্রধান৷ যার জেরে ওই বাড়ির ভিতরে থাকা ব্যক্তিদের দেহাংশ রাস্তায় গিয়ে পড়ে৷
পেন্টাগনের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযান চলাকালীন কোনও মার্কিন সেনা হতাহত হননি৷ সিরিয়ায় আমেরিকার বাহিনী যখন সিরিয়ায় এই অভিযান চালাচ্ছিল, তখন সরাসরি তাতে চোখ রাখছিলেন প্রেসিডেন্ট বিডেন সহ মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা৷