লেবাননের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হামাসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড আরুরি সে দেশের রাজধানী বেইরুটের দক্ষিণে একটি জায়গায় থাকছিলেন৷ সেখানেই গত মঙ্গলবার একটি ড্রোন হামলা হয়৷ তাতে আরুরি ছাড়াও মৃত্যু হয় হামাসের আরও ৫ জনের৷ তাঁরা হামাসের দুই সামরিক কমান্ডার এবং দুই অন্য সদস্য। আরুরির মৃত্যুতে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে বাড়তি ঘৃতাহুতি পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে৷
advertisement
আরুরির মৃত্যুর দায় সরাসরি গ্রহণ না করলেও লেবাননের দাবি, ইজরায়েলই ওই ড্রোন হামলার পিছনে রয়েছে করেছিল৷ ইরান, হামাস এবং হিজবোল্লা উভয় গোষ্ঠীর প্রধান সমর্থকও আরুরির হত্যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। বলেছিল, “এই মৃত্যু নিঃসন্দেহে প্রতিরোধের শিরায় ফের আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’’ এই ঘটনার পরের দিনই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল ইরানে৷
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন ইরানের অন্যতম নেতা সোলেমানির মৃত্যু দিবস উপলক্ষে কেরমান শহরে তাঁর কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় যথেষ্ট ভিড় ছিল৷ সন্ধে নাগাদ সেখানেই হঠাৎ দু’টি ব্যাগে ১০ মিনিটের ব্যবধানে পর পর বিস্ফোরণ হয়৷ রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: ট্রেনে ঘুমোচ্ছিলেন তরুণী…তার মুখের উপরেই…ছি ছি!! চরম অশ্লীল কাণ্ড ঘটালেন সহযাত্রী প্রৌঢ়
ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৮২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কেরমানেই রয়েছে ইরানের অন্যতম রূপকার কাসেম সুলেমানির কবর৷ কেরমান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর জানিয়েছেন, এই হামলার পিছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে৷
কে এই কাসেম সোলেমানি?
আরও পড়ুন: বেড়েছে DA, জানুয়ারি থেকেই বাড়তি টাকা! বেতন কত বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের?
ইরানের সামরিক ব্যবস্থার মূল রূপকার ছিলেন এই সোলেমানি৷ জীবিত অবস্থায় সেদেশের প্রেসিডেন্টের চেয়েও ছিলেন জনপ্রিয়৷ ইরানবাসীর একাংশ মনে করেন, সোলেমানির সামরিক মেধার জন্যই ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া-সহ মধ্যপ্রাচ্য এলাকায় অন্যতম শক্তিধর দেশ হতে পেরেছিল ইরান৷ আমেরিকার বিরোধিতা করতেও পিছপা হয়নি সেই দেশ৷ ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলেমানির মৃত্যু হয়৷
তাঁর শবযাত্রার সময় ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷