এই প্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী টিকাকরণ হয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে ভারত সরকার আগামী ২৭ মার্চ থেকে নির্ধারিত বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান পরিষেবাগুলি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।
আরও পড়ুন- কাগজ কেনার টাকা নেই, তাই পরীক্ষা বন্ধ! ঘোষণা করে দিল সরকার
advertisement
তবে করোনা অতিমারী এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। বিভিন্ন দেশে নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধানও মিলছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হলেও সুরক্ষার জন্যই বেশ কিছু বিধি মেনে চলতে হবে।
করোনার লক্ষণ থাকলে বিমানে নয়: বারবার নিজের রূপ বদলেছে করোনা। ফলে হয়ে উঠেছে রহস্যময়। অনেক ক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। যা উদ্বেগজনক। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়েছে। ওমিক্রনের উপসর্গ করোনাভাইরাসের বাকি ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গের থেকে অনেকটাই আলাদা।
আমেরিকার জো অ্যাপ অনুযায়ী, গলা ব্যথা, সর্দি নাক কিংবা বন্ধ নাক, মাথাব্যথা, হাঁচি, চোখ ছলছল-সহ ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিলে তা ওমিক্রনের লক্ষণ হতে পারে। তাই এমনটা হলে অবিলম্বে পরীক্ষা করাতে হবে। ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে আপাতত বাতিল করাই ভালো। আগে রিপোর্ট নেগেটিভ আসুক।
ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ মাস্ট: করোনা রুখতে শুরু থেকেই ভ্যাকসিনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। যাঁরা বুস্টার ভ্যাকসিনের যোগ্য, তাঁদেরও এটা তাড়াতাড়ি নিয়ে নেওয়া উচিত। কোভিডের বুস্টার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
সদাসর্বদা মাস্ক: অতিমারীর শুরু থেকেই মাস্ক পরার উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিমানে ভ্রমণের সময় এটা মানতেই হবে। যাঁরা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়েছেন এবং যাঁরা এখনও ভ্যাকসিন পাননি, উভয়ের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। বিশেষ করে বয়স্ক, কোমর্বিডিটিতে ভুগছেন যাংরা এবং শিশু, এঁদের সর্বদা মাস্ক পরে থাকা উচিত।
আরও পড়ুন- শুধু প্রেম নয়, প্রতারণা আর পরকীয়াতেও বিশ্ব সেরা এই শহর! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে: যদিও বিমানে দূরত্ববিধি বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব, তবুও যতটা সম্ভব মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব সংক্রমণ প্রতিরোধের অন্যতম সেরা উপায়। যদিও ইন-ফ্লাইট ভেন্টিলেশন এবং এয়ার ফিল্ট্রেশন সিস্টেমগুলিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়, তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে সুরক্ষার মাত্রা আরও বাড়ে, এমনই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সঙ্গে রাখতেই হবে: হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, জীবাণুনাশক ওয়াইপস এবং ফার্স্ট এইড কিট সঙ্গে রাখতে ভুললে চলবে না। ভারত সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপটিও মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। সংক্রমণ সংক্রান্ত যে কোনও বিপদে ওটা কাজে দেবে।