শুধুমাত্র পুজোর আনন্দ নয়, এর ব্যপ্তি এই উৎসবকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে। নানা ভাষা নানা জাতি নানা ধর্মের মানুষকে নিয়ে উদযাপিত হতে-হতে এই দুর্গাপুজো এক বৃহৎ ও মহৎ উৎসবে পরিণত হয়েছে এবং বাঙালি জাতি এই পুজোর মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে তাঁদের নিজস্ব অস্তিত্ব বহন করে চলেছে।
জাকার্তার প্রবাসী বাঙালিদের কাছে এই পাঁচদিন একেবারে আনন্দে বুঁদ হয়ে থাকার দিন। জাকার্তা বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘ ৩৮ বছর পালন করে আসছে এই দুর্গাপুজো। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যেন এক নতুন জীবনের স্বাদের অনুভূতি পাচ্ছেন সেখানকার বাঙালি বাসিন্দারা। প্রায় দু'বছর পরে জীবনের কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে মানুষ। আর সেই অনুষঙ্গেই এবার ইন্দোনেশিয়ার দুর্গাপুজোতেও সেই আনন্দের ছোঁয়া।
advertisement
বিদেশ বলে কী নিয়ম মানায় ছাড় আছে? একেবারেই না। বরং এই বাংলার মতোই পুজোর সমস্ত নিয়ম-নীতি সময় অনুসরণ করে এই দুর্গোৎসব এবারও পালিত হচ্ছে মহা ধুমধামে। বাংলার পুরাতনী পুজোর ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে এই জাকার্তার বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের এই দুর্গাপুজো। প্রতিদিন পুজোর ভোগ প্রসাদ এবং সকাল-বিকেলের ভুড়িভোজের মধ্যে দিয়েই পালিত হচ্ছে এ বছরের উৎসব। এ বছর জাকার্তা বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের কমিটির সদস্যরা তাদের প্রতিটি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে কলকাতা থেকে নিয়ে আসা একই রকমের লালপেড়ে গরদের শাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে পুজোর সময় সকলের একই পোশাক যেন এক অন্য আবেশ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: পুজোয় একেবারে 'ফ্যামিলি ম্যান', অঞ্জলী দিতে গিয়ে যা চাইলেন সুকান্ত মজুমদার...
এছাড়াও এবছর অষ্টমীতে মাটির মালশাতে ভোগ বিতরণ করা হয়েছে। পুজোর প্রতিটি দিন সন্ধ্যেবেলায় থাকছে বিভিন্ন স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংগঠনের মহিলারা একসঙ্গে করছেন অনবদ্য ধুনুচি নৃত্যের প্রদর্শনী। তার সঙ্গেই থাকছে বিভিন্ন ধরনের গান ,আবৃত্তি ,গানের লড়াই , শ্রুতি নাটক ও নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই সবকিছু মিলে মিশে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচ দিনব্যাপী এই একমাত্র দুর্গাপুজো যেন হয়ে উঠেছে এক টুকরো কলকাতা।