ভারত সরকারের দাবি, দেশে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে যেসব অ-মুসলিম শরণার্থীরা ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে এদেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে CAA ৷ তবে এই আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা এদেশে এসেছেন তারাই নাগরিকত্ব পাবেন ৷ এই আইনকে সংবিধানের পরিপন্থী ও বিদ্বেষমূলক বলে প্রতিবাদের সরব প্রায় গোটা দেশ ৷ রাজনীতিবিদ থেকে সাধারণ মানুষ এই আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন সকলেই ৷
advertisement
এবার এই আইনকে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করলেন ভারতের প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘CAA-র কোনও প্রয়োজন ছিল না ৷ কেন এই অপ্রয়োজনীয় CAA জারি করল ভারত বুঝিনি ৷ যদিও এটি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় ৷’এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে অনেকে সমস্যায় আছেন কিন্তু ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে আসেন না ৷ বাংলাদেশ থেকেও কেউ যায় না ৷’
সম্প্রতি এনআরসি ও সিএএ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনিও সিএএ ও এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের বন্ধু ৷ যদিও এগুলি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় তবুও এই কারণে ভারতে কোনও অশান্তির আবহ তৈরি হয় তাহলে তা আমাদের দেশেও প্রভাব ফেলবে ৷’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আশঙ্কা এদেশ থেকে উৎখাত হওয়া মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেবে ৷ এর আগে অসমে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পর বহু মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন বলে খবর ছড়ায় ৷ গোটা দেশ জু়ড়ে নাগরিকত্ব আইন জারি হলে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ৷