বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশ নিবাসী মহিলা শাহজাদী খান নামে ওই মহিলাকে আইনি সহায়তা দিয়েছে ভারত। একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, শাহজাদী নামে এক ভারতীয় নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি শিশুকে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতও করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অফ ক্যাসেশনও এই রায় বহাল রেখেছে। দূতাবাসের তরফে শাহজাদীকে সমস্ত আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এমনকী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের কাছে করুণার আবেদন এবং ক্ষমা ভিক্ষার আবেদনও পাঠানো হয়েছিল।
advertisement
সেই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কর্তৃপক্ষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে দূতাবাসকে অবহিত করে যে, স্থানীয় আইন অনুসারে শাহজাদীর সাজা কার্যকর হয়েছে। আর গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে শাহজাদী নামে ওই মহিলার পরিবারকেও।
এই মৃত্যুদণ্ডতে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট: ওই মহিলার ভাল থাকার বিষয়ে তাঁর বাবার কাছ থেকে আবেদন শুনেছিলেন বিচারপতি সচিন দত্ত। এই বিষয়টিকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা আদালতে বলেন যে, বিষয়টি শেষ হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে আবু ধাবি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল শাহজাদী খানকে। এরপর ৩১ জুলাই ২০২৩ তারিখে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তাঁকে আল ওয়াথবা জেলে রাখা হয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা শাব্বির খান নিজের কন্যা শাহজাদীর ভাগ্যের গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছিলেন। বলেন যে, বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে বারবার আবেদন জানানো হলেও কোনও জবাব মেলেনি।
ওই আর্জিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, শাহজাদী যে বাড়িতে কাজ করতেন, সেই বাড়ির মালিকের চার মাস বয়সী সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। আরও দাবি করা হয়েছে যে, শাহজাদীকে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। যার ফলে শেষ পর্যন্ত তার উপর মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা হয়েছিল।
শুনানির সময় আবেদনকারীর আইনজীবী বলেছিলেন, তাঁর প্রাথমিক অনুরোধ ছিল এটা নিশ্চিত করা যে, শাহজাদী এখনও বেঁচে আছেন না কি তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে আনেন যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি শাহজাদী জেল থেকেই তার পরিবারকে ফোন করে জানিয়েছিল যে, ১ অথবা ২ দিনের মধ্যে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে চলেছে। এটাই তার শেষ কল। এরপর থেকে শাহজাদীর অবস্থার বিষয়ে আর কোনও আপডেট পায়নি তার পরিবার।
আরও পড়ুনAnindita-Sudip Baby: অনিন্দিতা-সুদীপের ঘরে এল ‘লক্ষ্মী’! হার্ট ইমোজি দিয়ে করলেন ছবি পোস্ট
কেন্দ্রের আইনজীবী আদালতের কাছে জানিয়েছে যে, দূতাবাসের অফিসাররা আবেদনকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আবু ধাবিতে শাহজাদীর অন্ত্যেষ্টি করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে তার পরিবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারে।