আটক হওয়া ওই ভারতীয় ব্লগারের নাম এসডি খান৷ গতমাসে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে তাঁর পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিও-কে নিয়ে তুরস্কে তুমুল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷ এর পরেই ভিডিওগুলি ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নেন ওই ভারতীয় ব্লগার৷ যদিও জনরোষ তৈরি হওয়ায় ওই ব্লগারকে তুরস্কের পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে৷
এসডি খানের তৈরি ওই ভিডিওগুলি হিন্দিতেই ছিল৷ যদিও তিনি তুরস্কের মহিলাদের উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, তা টার্কি টুডে নামে তুরস্কের একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়৷ একটি ভিডিও-তে স্থানীয় এক মহিলাকে দেখিয়ে ওই ভারতীয় ইউটিউবারকে দর্শকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আজ রাতে কি আমার এই মহিলাকে ধর্ষণ করা উচিত?’ শুধু তাই নয়, স্থানীয় একটি দোকানে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে গালিগালাজ করার অভিযোগও উঠেছে ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে৷
advertisement
তাঁর পোস্ট করা এই সমস্ত ভিডিও ঘিরে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পরই সেগুলি সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেন এসডি খান৷ কিন্তু ততক্ষণে সেই ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়ে যায়৷ বিপদ বুঝে ওই ইউটিউবার ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আরও একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন৷ সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি৷ যদি কাউকে আঘাত করেও থাকি, সেটা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত৷ আমি কাউকে আঘাত করেছি, এটা ভেবেই আমার খুব খারাপ লাগছে৷ ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমি আরও সতর্ক থাকব, এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি৷ আমার হৃদয়ের অন্তর থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷’
সাম্প্রতিক ভারত পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের পক্ষ নেয় তুরস্ক৷ ২০২৩ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের পাশে ভারত দাঁড়ালেও অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের পক্ষেই সমর্থন জানায় তুরস্ক৷ শুধু সমর্থন নয়, পাকিস্তান ড্রোন দিয়েও সাহায্য করে তুরস্ক৷ সেই ড্রোন দিয়েই ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান৷ যদিও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ তবে ভারতীয় ব্লগারের গ্রেফতারি বা আটক, অথবা এই বিষয়ে তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়ে সরকারি ভাবে তুরস্ক কিছু জানায়নি৷