পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর ও ভারত প্রসঙ্গে নিন্দা শুরু করতেই, ভার্চুয়াল সেশন থেকে ওয়াক-আউট করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো৷ ট্যুইটারে তিরুমূর্তি লেখেন, 'পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি এক ধরনের নতুন নীচু মানের কূটনীতি৷ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও সীমান্ত সন্ত্রাস থেকে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে বিরক্তিকর, বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যে, ব্যক্তিগত আক্রমণ, যুদ্ধে উস্কানিমূলক বিবৃতি৷ কড়া জবাব আসছে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: SCO মিটিংয়ে ম্যাপে গোটা কাশ্মীর নিজেদের অংশ দেখাল পাকিস্তান, দেখেই বেরিয়ে গেলেন দোভাল
শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ভিডিও বিবৃতিতে কাশ্মীর সহ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইমরান৷ পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুরু হতেই মিজিতো ভিনিতো ওয়াক আউট করেন৷ ভারত এরপর পাকিস্তানকে জানায়, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আছে ও থাকবে৷ এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷
এ দিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিবৃতিতে ইমরান খান বলেন, বিভিন্ন দেশে 'ইসলামোফোবিয়া' বাড়ছে৷ মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে, মসজিদ ভাঙা হচ্ছে৷ Covid-19 অতিমারির আবহে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো চলছে৷ পাক সংবাদপত্র ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরানের বক্তব্য, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনাকে ব্যবহার করছে৷
এ দিনই মানবাধিকার কাউন্সিলে ৪৫তম সেশনে ভারত বলে, পাকিস্তানের অন্যকে নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা উচিত নয়৷ মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হল সন্ত্রাসবাদ৷
কয়েকদিন আগে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-র সদস্যভূক্ত দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকেও ওয়াক আউট করে ভারত৷ ওই বৈঠকেও পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে ম্যাপ বা মানচিত্র ব্যবহার করেন, তাতে দেখা যায়, কাশ্মীরে ভারতের অংশও পাকিস্তানের ম্যাপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পাকিস্তানের ওই কীর্তি দেখে রাশিয়ার নেতৃত্বে ওই মিটিং থেকে তত্ক্ষণাত্ বেরিয়ে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল৷
কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'পাকিস্তানের এই ধরনের কাজ নির্লজ্জের মতো আয়োজক দেশের অ্যাডভাইসরিকে অমান্য করার সামিল৷ এবং বৈঠকের নিয়ম লঙ্ঘন করা৷ আয়োজকের সঙ্গে আলোচনার পরেই ভারতের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানিয়ে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান৷ আশা মতোই পাকিস্তান ওই বৈঠকে একটি বিভ্রান্তিকর মত পোষণ করতে চেয়েছিল৷'