খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই যাবতীয় সঙ্কটের সূত্রপাত। এদিন ট্রুডো বলেন, ‘একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিই, আমরা ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে আগ্রহী। তাই প্রথমেই অভিযোগগুলো ভারতকে জানানো হয়েছে। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। কিন্তু ভারত ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে ৪০ জনের বেশি কানাডার কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়। আমরা হতাশ’।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ বদলে গেছে সময়, জেলের প্রথম রাতে কী করলেন জ্যোতিপ্রিয়? সামনে এল চমকে ওঠা খবর
প্রসঙ্গত, ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিক নিজ্জরকে হত্যার সঙ্গে ভারতের এজেন্টরা যুক্ত থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মতো গুরুতর কারণ রয়েছে। তাঁর প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি কানাডার ৪০ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এবার এই ঘটনাকেই ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন বলে তোপ দাগলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দল কি আর পাশে নেই? মহুয়া মৈত্র নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত তৃণমূলের! স্পষ্ট হয়ে গেল সব
নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ ‘বিপজ্জনক’ এবং ‘বেনজির’ বলে মন্তব্য করেন ট্রুডো। তাঁর আশঙ্কা, এতে ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে’। ট্রুডোর কথায়, ‘নয়াদিল্লির পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কূনীতিকদের সুরক্ষাকবচ তুলে নেওয়া বিপজ্জনক নজির। আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়তে পারে’। সঙ্গে ট্রুডো যোগ করেন, ‘কানাডা কোনও লড়াই চায় না। প্রতি পদক্ষেপে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে আগ্রহী’। এর সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ‘তবে কানাডা ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়াবে’।
নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের পর ভারত-কানাডার মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে চেয়েছিল আমেরিকা। তবে তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। ঘটনার পরেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতা করা উচিত ভারতের’। আমেরিকার এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত। তবে বিষয়টাকে নয়াদিল্লি যে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল।