advertisement
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনিয়ান ভাষায় ম্রিয়া শব্দের অর্থ স্বপ্ন। করোনার সময় এই বিমানটি বিভিন্ন দেশে পিপিই কিট থেকে শুরু করে ওষুষ ও টিকা পৌঁছে দিয়েছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। জানা গিয়েছে, রাজধানী কিভের একটি এয়ারফিল্ডে এই বিমানটি দাঁড়িয়েছিল। সেখানেই বিমানটিকে ধ্বংস করে রাশিয়া।
তবে যুদ্ধের মতোই ম্রিয়াকে নিয়েও আশাবাদী ইউক্রেন। হাল ছাড়বে না তারা। বরং সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ফের বিমানটিকে নতুন করে গড়ে তুলবে তারা। ইউক্রেনের সংসদের তরফে লেখা হয়েছে, ''২০২০ সালে বিশ্বের বৃহত্তম পরিবহণ বিমান AN-225 ম্রিয়া মানবিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়। ইউরোপে করোনভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত ম্রিয়া। কিন্তু আজ রাশিয়ান সৈন্যরা বিশ্বের বিমান চলাচলের কিংবদন্তিকে ধ্বংস করে দিল।''
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের আকাশে 'ঘোস্ট অফ কিভ'! তোলপাড় পড়েছে বিশ্বে, কী এই জিনিসটি?
আশি দশকে সোভিয়েত আমলে তৈরি করা হয়েছিল এই বিমানটি। বর্তমানে ইউক্রেনের সংস্থা ‘আন্তনোভ’ এই বিমানটি তৈরি করে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানান, কিয়েভের কাছে একটি বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে রুশ বাহিনীর ছোঁড়া একটি গোলায় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে এই বিমানটি। টুইটে বিমানটির একটি ছবিও রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, 'বিশ্বের বৃহত্তম বিমানটিকে ওরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের ‘স্বপ্ন’ কখনও ধ্বংস হবে না।'