পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা। বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক। কাশ্মীরের আকাশে ভারত-পাক বায়ুসেনার ডগ ফাইট। একের পর এক ঘটনায় তলানিতে ঠেকেছে ভারত-পাক সম্পর্ক। নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি। এমন উত্তপ্ত আবহে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের((Imran Khan) আমেরিকা সফর। সোমবার হোয়াইট হাউসে, সেই ইমরানকে পাশে বসিয়েই কাশ্মীর প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump)।
advertisement
ট্রাম্পের এমন দাবিতে অস্বস্তিতে পড়ে যায় মোদি সরকার। সোমবার রাতেই আসরে নামতে হয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমারকে। তাঁর টুইট, আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এমন কোনও অনুরোধ করেননি। পাকিস্তানের সঙ্গে সব বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা হবে। এটাই আমাদের ধারাবাহিক অবস্থান। তার আগে সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া দরকার। পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদ মেটাতে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই পথ৷
মঙ্গলবার সংসদের দু’কক্ষে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি খরিজ করে দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনের দাবি উড়িয়ে দেন। অস্বস্তিতে পড়ে এপরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে ওয়াশিংটন।