পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলন। অনশনের হুমকি। চাপের মুখে পিছু হঠল পারে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ। অধিকর্তাকে বর্ধিত ফি-র প্রায় সত্তর শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেন তিন ডিন। সেনেটের বৈঠকে চূড়ান্ত হল সেই সিদ্ধান্ত। সপ্তম পে কমিশন আইআইটিতে লাগু না করে এই ফি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ডিন।
এক নজরে প্রস্তাবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ-
-----জিএসটি ও সেভেনথ পে কমিশনের অধীনে বেতন ও এরিয়ার কম্পিউটেশনের বাইরে রাখা হোক
advertisement
----কর ও বেতন বর্তমান রেটেই বিবেচনা করা হোক
-----নতুন অঙ্কে এই সেমেস্টারে ১৫২০০ টাকার হল এশটাব্লিশমেন্ট চার্জের বদলে ১২৫০০ টাকা নেওয়া হোক
-----প্রতি বছর এই বিষয়টি রিভিউ করা হোক
-----কর্মীদের খরচ HEC অধীন, ফলে কমবে হস্টেল খরচও
------হস্টেলের অগ্রিম ১৩৫০০ থেকে কমে ১২০০০ টাকা করা হোক
------হস্টেলকর্মীরা HMC-র কর্মী
-----শ্রম আইন মেনেই তাঁদের বেতন ব্যবস্থা
------সেই আইন ভেঙে বেতন কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব নয়
-----২০০৭-র পর HMC-র নতুন কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি
-----এই পদ্ধতি আপাতত বহাল থাকুক
-----বাকি সিদ্ধান্ত সব ছাত্ররা ছুটি থেকে ফিরলে আলোচনা করে নেওয়া হবে
২০ শে ডিসেম্বর থেকে নজিরবিহীন প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল খড়গপুর আইআইটি। সেমেস্টার ও হস্টেল ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে টানা ২৫ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় আইআইটির ডিরেক্টর, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্ট ও অন্যান্য আধিকারিকদের। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ঘেরাও তুললেও আন্দোলনে অনড় ছিলেন পড়ুয়ারা। ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফি জমা সময়সীমা বাড়ানোর দাবিও করেন তাঁরা। বিভিন্ন আলাপ আলোচনাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এরপরই ডিনেদের তরফে এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। পরে ছাত্ররা এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহার ৷