পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan) ভারতের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগগুলি তুলেছিলেন, যুক্তি দিয়ে দৃঢ় ভাবে তা খণ্ডন করে পাল্টা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মদতকারী হিসেবে তোপ দেগেছেন ভারতের এই তরুণ আইএফএস অফিসার (IFS Officer Sneha Dubey)৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় বক্তব্য রাখার পরই স্নেহাকে নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে রবীন্দ্র-কবিতা, নাম না করে পাকিস্তানকে দিলেন বার্তা!
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন স্নেহা৷ পাকিস্তানকে জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'পাকিস্তান এটা ভেবেই সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় যে তারা শুধু তাদের প্রতিবেশীদের ক্ষতি করবে৷ তাদের এই নীতির জন্য আমাদের অঞ্চল তো বটেই, গোটা বিশ্বকে মাশুল দিতে হয়েছে৷ অন্যদিকে নিজেদের দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাকে তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হিসেবে চালাতে চাইছে৷'
২০১২ সালের ব্যাচের আইএফএস অফিসার স্নেহা গোয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ এর পর পুণের ফার্গুসন কলেজে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন তিনি৷ তার পর দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অফ স্টাডিজের থেকে এমফিল সম্পন্ন করেন স্নেহা৷
স্কুল জীবন থেকেই ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসেসে যোগ দেওয়াই ছিল স্নেহার লক্ষ্য৷ ২০১১ সালে প্রথম চেষ্টাতেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি৷ স্নেহা জানিয়েছেন, তাঁর আইএফএস-এ যোগদানের ইচ্ছের পিছনে একাধিক কারণ ছিল৷ আন্তর্জাতিক বিষয়ে জ্ঞান লাভ, নতুন নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া, নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ, গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণের অংশ হওয়া এবং মানুষকে সাহায্য করতে পারার সুযোগ পাওয়াই ছিল স্নেহার এই পেশাকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ৷
পরিবারে স্নেহাই প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেন৷ তাঁর বাবা একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন৷ মা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা৷ ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর প্রথমে বৈদেশিক সম্পর্ক মন্ত্রকে নিযুক্ত হন স্নেহা৷ ২০১৪ সালে তাঁকে মাদ্রিদের ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়৷