এমনভাবে সেদিন নিজের স্বামী তাঁকে ধর্ষণ করবেন? এমন নারকীয় অভিজ্ঞতা হবে, আন্দাজ ছিল না তাঁর৷ মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে৷ স্বামীর বয়স তখন ৩২৷ আক্রান্ত মহিলা ভেবেছিলেন, ৩০ বছর বয়সে গিয়ে জীবনে থিতু হবেন৷ কিন্তু আগেই প্রেমে পড়ে বিয়ে করে নেন৷ নতুন বাড়ি, স্বামীর সন্তনা আছে একটি, আগের পক্ষের৷ সংসার শুরু হয়৷ প্রথমটায় স্বামীর এমন ব্যবহারের উদাহরণ খুব একটা পাননি তিনি৷
advertisement
পরে ধীরে ধীরে সব বুঝতে পারেন৷ স্বামী একাধিকবার মারধর করে, ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করে, আত্মহত্যার হুমকিও দেয়৷ ক্রমে সেসব অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ওই মহিলার৷
কিন্তু পরে সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন তিনি৷ তারপর জন্ম দেন একটি শিশুর৷ সেই শিশুর বয়স এখন সাত৷ কিন্তু সাত বছর আগের সেই দিনটির কথা ভাবলেই শিউরে উঠছেন তিনি৷ চোখে জল এলেও বলছেন, ‘অপরাধীকে শাস্তি দিতে আমাকে এই সমস্ত কথা প্রকাশ্যে বলতেই হত৷ এতদিন বাদে এসে তাই আমি বললাম৷ সেদিন আমার শরীরে একাধিক সেলাই৷ সবে সন্তানের জন্ম হয়েছে৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে বাড়ি আসি৷ আর সেখানেই আমাকে ধর্ষণ করে স্বামী৷ মরণাপন্ন হয়ে আমি থামতে বলি, তাও মুক্তি পাইনি৷ ভয় করেছিল, সেলাই যে নষ্ট হয়ছে, তা চিকিৎসকের কাছে বলব কী করে? আমি তো এই ভয়নাক ঘটনার কথা বলতেই পারব না৷ শেষে বাধ্য হই মুখ খুলতে৷ না হলে আমার জীবন শেষ হয়ে যেত৷