পরাজয়ের পর কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ, হতাশা দুই-ই চোখে পড়ছে৷ এই প্রসঙ্গে সুনক তাঁর বিদায়ী ভাষণে বলেন, ‘‘আমি শুনেছি, আমাদের পার্টির মধ্যে অনেকের ভিতরেই হতাশা ও ক্ষোভ জন্মাচ্ছে৷ আমি এই পরাজয়ের সম্পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করছি এবং পার্টির প্রধানের দায়ভার থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি৷’’ তিনি তাঁদের দলের প্রার্থী ও প্রচারকদের কাছ থেকে পরাজয় ও দলের খারাপ প্রদর্শনীর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই সুনক তাঁর পদত্যাগ পত্র বার্কিংহামের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: প্রচারের শেষলগ্নে আত্মবিশ্বাসী ঋষি সুনক! সমীক্ষা কী একই কথা বলছে?
প্যালেস থেকেও পদত্যাগ পত্র প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, ‘‘সম্মানীয় ঋষি সুনক আজ সকালেই তাঁর পদত্যাগ পত্র রাজার কাছে পাঠিয়েছেন৷ তিনি তা গ্রহণও করেছেন৷’’
বিট্রেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক উত্তর ইংল্যান্ডের নিজের কেন্দ্র রিচমন্ড ও নর্দালারটনে ২৩,০৫৯ ভোটে পার্টির জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে৷ কিন্তু সমগ্র ব্রিটেনে তাঁর পার্টিকে বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের শিকার হতে হয়েছে৷ প্রায় ১৮ বছর পর ইংল্যান্ড ডানপন্থা ছেড়ে বামপন্থার প্রতি আস্থা রেখেছে৷
আরও পড়ুন: হারতে চলেছেন ঋষি সুনক? ‘৪০০ আসন পার’ করে সমীক্ষায় লেবার পার্টির জয়ের ইঙ্গিত…ব্রিটেনে শুরু ভোট
ঋষি সুনক তাঁর পত্নী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বের হয়ে আসছে তখন স্পষ্টতই তাঁকে কিছুটা হতাশাগ্রস্ত লাগছিল৷ তবে তিনি তাঁর ভাষণে কিয়ের স্টার্মারকে জেতার জন্য অভিনন্দন জানাতেও ভোলেননি৷ কিয়ের স্টার্মার লন্ডনে হলবর্ন ও প্যানক্রাস কেন্দ্র দুটিতে ভাল মার্জিনে জয় লাভ করেছেন৷ জয়ের পর ইংল্যান্ডের ভাবী প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘নানা রকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশ যাচ্ছে৷ আজ থেকেই অবস্থার পরিবর্তন হবে৷ দেশকে নতুন দিশা দেখানোর উদ্দেশ্যে আজ থেকেই আমরা কাজ শুরু করব৷