প্রায় দেড়শো বছর ব্রিটেনের উপনিবেশ থাকার পর ১৯৯৭ সালে হংকংকে হস্তান্তর করা হয় চিনের কাছে। সেসময় এক দেশ দুই নীতির প্রথা মেনে নেওয়া হয়। এর ফলে বিক্ষোভ দেখানো, স্বাধীন বিচারব্যবস্থার অধিকার ভোগ করেন হংকংবাসী। কিন্তু এবছর এপ্রিলে আনা প্রত্যর্পণ বিলের ফলে অপরাধের মামলার বিচার হবে চিনের মূল ভূখণ্ডে। এই বিলের বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে হংকং। বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। তিন মাসের বেশি সময় ধরে অচল হয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশ গুলি চালায়। ফাটান হয় টিয়ার গ্যাসের শেল, পেপার স্প্রে। আন্দোলনকারীদের তুলতে চলে বেধড়ক মারধর। টানা বিক্ষোভের প্রভাব পড়ে হংকংয়ের অর্থনীতিতে। গত এক দশকে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে তলানিতে এসে ঠেকে। চাপে পড়ে জুনে বিলের রূপায়ন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু তাতেও অনড় আন্দোলনকারীরা। অবশেষে বিলটি পুরোপুরি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন হংকংয়ের প্রশাসক।
advertisement
এতে অবশ্য খুশি নন আন্দোলনকারীরা। পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। যার মধ্যে রয়েছে আটক আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, পুলিশের অত্যাচারের নিরপেক্ষ তদন্ত, হংকংয়ের জন্য আরও স্বাধীনতার দাবি। বিল প্রত্যাখানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। সাধুবাদ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। তবে তাতে সমস্যা মেটার কোনও ইঙ্গিত মিলল না।