দেখা যাচ্ছে, এক হিজবুল্লা সদস্যের শেষযাত্রার মিছিল চলছে। জড়ো হয়েছেন অসংখ্য নারী পুরুষ। অ্যাম্বুলেন্সের সামনে এক ব্যক্তির শরীর থেকে আচমকাই ধোঁয়া বেরতে শুরু করল। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মাটিতে পড়ে গেলেন তিনি।
ইউনাইটেড এগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের পলিসি ডিরেক্টর জেসন ব্রডস্কি শেয়ার করেছেন ভিডিওটি (নিউজ18 ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি)। প্রথমে বাজি ফাটার মতো একটা শব্দ। সামান্য আলোর ঝলকানি। তারপরই চিৎকার। যন্ত্রণায় মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুন:ভয়াবহ ঘটনা বসিরহাটে, গ্যারেজের ভাড়া না দেওয়ায় যুবককে পিটিয়ে খুন
আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। তবে কোথায় বিস্ফোরণটি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্য একটি প্রতিবেদনে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ বেইরুটের দাহিয়া শহরে একটি শেষযাত্রার মিছিলে বিস্ফোরণ হয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। জানা গিয়েছে সেই সময়ই ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়।
হিজবুল্লার শক্ত ঘাঁটি লেবানন। সেখানেই প্রথমে পেজার বিস্ফোরণ এবং তারপর ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হল। ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জখম ১০০-এর বেশি। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। পরপর এমন হামলায় এই অঞ্চলে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
হিজবুল্লার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, বেইরুটের শক্ত ঘাঁটি ছাড়াও দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননেও একাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়েছে। লেবাননের সরকারি সংবাদমাধ্যমও এই খবর জানিয়েছে।
পেজার বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত দুই শিশু সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২,৮০০ জন। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের খবর সামনে এল। এই বিস্ফোরণের জন্যও ইজরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে হিজবুল্লা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নেতানিয়াহুর দেশ।
প্রসঙ্গত, পেজার বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লার বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক লড়াই হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফলে এই ঘটনার জন্য ইজরায়েলকেই দায়ী করছে হিজবোল্লাহ। হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেছে, “এর ফল ভুগতে হবে।’’