প্রবল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং প্রচুর বায়ুমণ্ডলীয় আর্দ্রতার একসঙ্গে উপস্থিতিতে রবিবার ইরানের পারস্য উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছে৷
ইউএস স্টর্মওয়াচ থেকে কলিন ম্যাকার্থির মতে, ইরানের বিমানবন্দরে তাপ সূচক ৬৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট রিপোর্ট করেছে।
advertisement
দেখে নিন সেই ভয় দেখানো ভাইরাল ট্যুইট
কলিন ম্যাকার্থি নিজের ট্যুইটে বলেছেন, “ইরানের পারস্য উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ দুপুর ১২:৩০ এ ১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৬৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপ সূচকের রিপোর্ট করা হয়েছে। এটি মানুষ/প্রাণীর জীবনের জন্য অসহনীয় অবস্থা৷’’ তিনি ১৬ জুলাই এই পোস্টটি করেছেন৷
এই মহূর্তে সারা পৃথিবী সবচেয়ে বড় যে সব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হল জলবায়ু পরিবর্তন৷ জলবায়ু পরিবর্তনেরই একটি বিশাল প্রত্যক্ষ প্রমাণ ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা৷ মানুষের কাজকর্মই এই পরিবর্তন দ্রুত ডেকে আনার অন্যতম কারণ, বিশেষ করে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই সমস্যা৷
জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, বনাঞ্চলের ধ্বংস সাধন, শিল্প এবং কৃষি পদ্ধতি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যেই তাপ আটকে রাখছে। ফলস্বরূপ, গত শতাব্দী থেকেই গ্রহের গড় তাপমাত্রা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে।
আবহাওয়া কতটা গরম বা ঠাণ্ডা অনুভূত হয় তা গণনা করতে, আবহাওয়াবিদরা এমন সমীকরণ ব্যবহার করেন যা বায়ুর তাপমাত্রা এবং অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় পরিবর্তনশীলকে ফ্যাক্টর একসঙ্গে করে হয়। গরম আবহাওয়ার প্রভাব অনুমান করার জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটিকে বলা হয় ‘তাপ সূচক’, যা বায়ুর তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাকে একত্রিত করে এটি মাপা হয়৷
পারস্য উপসাগরের খুব উষ্ণ জল এবং সেখান দিয়ে প্রবাহিত আর্দ্র বাতাসের সাথে অভ্যন্তরীণ তাপের কম্বিনেশন তাপমাত্রা সহনশীলতার মাত্রা পেরিয়ে গেছে৷