সেখানেই এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী জেকে রাওলিংকে লিখেছে, 'চিন্তা করবেন না। পরবর্তী লক্ষ্য আপনি।' ওই ট্যুইটার ব্যবহারকারী শুধু রাওলিংকে প্রাণনাশের হুমকিই না, একইসঙ্গে রুশদির উপর হামলাকারীর প্রশংসাও করেছে। শুক্রবার পশ্চিম নিউ ইয়র্কের শুটোকোয়া ইনস্টিটিউটে তাঁকে নিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানেই ছুরিকাহত হন প্রবীণ সাহিত্যিক সলমন রুশদি৷ ঠিক ছিল 'আমেরিকায় শরণার্থী লেখকেরা' বিষয়ের উপর প্রখ্যাত সাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্চালক হেনরি রিস৷ সেই সময় আচমকাই স্টেজে উঠে পড়ে হামলাকারী।
advertisement
আরও পড়ুন: বয়স মাত্র ২৪ বছর, সলমন রুশদির আক্রমণকারী সম্বন্ধে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখন তদন্তকারীদের হাতে
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির কোপ বসানো হয় লেখকের ঘাড়ে-বুকে-পেটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রুশদি। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল গোটা স্টেজ ও পাশের দেওয়াল। পুলিশ তখনই চিহ্নিত করে ২৪ বছর বয়সি আক্রমণকারী হাদি মাটারকে, সে নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ-এর বাসিন্দা৷ ঘটনাস্থলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। আক্রমণের কারণ এখনও জানা যায়নি৷ তবে অনুমান করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে ইরানিয়ান যোগসূত্র রয়েছে৷
আরও পড়ুন: বেঁচে আছেন রুশদি, ১০-১৫ বার ছুরি মারা হয় ঘাড়ে, হেলিকপ্টার করে হাসপাতালে লেখক
প্রসঙ্গত আটের দশকের শেষ দিকে রুশদির উপর ফতোয়া বা মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ইরানের আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি৷ বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল রুশদির লেখা 'দ্য সেটানিক ভার্সেস৷' তবে তার এক দশক পর তেহরানের তরফে জানানো হয় লেখকের উপর থেকে ফতোয়া প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷ রবিবার জানা গিয়েছে, আগের থেকে ভাল আছেন সলমন রুশদি। ভেন্টিলেটর থেকে বার করা হয়েছে তাঁকে। তিনি কথাও বলতে পারছেন। জানিয়েছেন লেখকের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি।