এবার ইসমাইলের হত্যার বদলা নিতে ইরান সরকারকে ইজরায়েলের উপর সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনি। তিন ইরানি আধিকারিকের উদ্ধৃতি দিয়ে এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
হামাস প্রধান হানিয়ার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই বুধবার সকালে বৈঠকে বসেছিল ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খোমেইনিও। সেখানেই তিনি এই নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। পাল্টা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই ইজরায়েলকে আক্রমণের চেষ্টা হোক না কেন, কড়ায় গণ্ডায় তার মূল্য চোকাতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প! ‘ও ভারতীয় না কৃষ্ণাঙ্গ?,’ কমলা হ্যারিসকে নিয়ে এ কী কটাক্ষ
অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে বুধবার বৈঠক বসেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদও। বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই কাউন্সিল এই অঞ্চলে শান্তি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। বৈঠকে অপরের তীব্র নিন্দা করে ইরান এবং ইজরায়েল।
ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সইদ ইরাভানি বলেন, “এই আগ্রাসনের জন্য ইজরায়েলকে জবাব দিতে হবে। অবিলম্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’’ ইজরায়েলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্পদায় এমন কাজ সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরাভানি।
আরও পড়ুন: ওয়ানাড ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৫৬, এখনও আটকে বহু, আজ পৌঁছলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত হামাস প্রধানকে হত্যার দায় স্বীকার করেনি। তবে লেবাননের রাজধানী বেইরুটে বিমান হামলার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সিনিয়র কম্যান্ডার ফুয়াদ সুকরকে খতম করেছে ইজরায়েলী সেনা। ইজরায়েলের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর জোনাথন মিলার কাউন্সিলকে বলেছেন, “এই অপারেশনের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, আমরা নিজেদের রক্ষা করব এবং যাঁরা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাঁদের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানব।’’
এখানেই না থেমে ইরানের ‘উস্কানি’-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জোনাথন। তাঁর অভিযোগ, হামাস ও হিজবুল্লাহ, উভয় জঙ্গি সংগঠনকেই অর্থ এবং অস্ত্র দেয় ইরান। এই নিয়ে ইরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউন্সিলের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।