২০২১ সালের ঘটনা। কেভিন এবং সামান্থা ম্যাককুলিয়ান গ্রিসে যাচ্ছিলেন। ম্যাঞ্চেস্টার জেট ১৭-এর দুটি টিকিট কাটেন তাঁরা। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর জানতে পারেন, ওই বিমানে আর কোনও যাত্রী নেই। শুধু তাঁরাই যাচ্ছেন। প্রাইভেট জেটের মতো সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় তাঁদের।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সামান্থা এবং কেভিন বিমানবন্দরে পৌঁছে যখন দেখেন আর কোনও যাত্রী নেই, তখন ভাবেন, তাঁরা বোধহয় দেরিতে পৌঁছেছেন। সবাই বিমানে উঠে পড়েছে। তাঁরাও তড়িঘড়ি ফ্লাইটে ওঠেন। কিন্তু সেখানে আর কোনও যাত্রী নেই।
advertisement
সামান্থা বলেন, ‘চেক ইন করার সময়ই অদ্ভুত লাগছিল। আশেপাশে কেউ নেই। এমনটা তো হয় না। এমনকী পাসপোর্ট কন্ট্রোল সেন্টারও দেখতে পাইনি’। প্রথমে ভাবেন, কোনও ভুল হচ্ছে না তো! হয় ফ্লাইট বাতিল হয়ে গিয়েছে, নয়ত আমাদের দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঘড়িতে তো ঠিক সময় দেখাচ্ছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের জিজ্ঞেস করি। তাঁরা বলেন, সব ঠিক আছে।
রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সিঁড়ি বেয়ে বিমানে ওঠার সময় ক্যাপ্টেন এবং দুজন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট কেভিন এবং সামান্থাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তখনই জানানো হয়, এই ফ্লাইটে তাঁরাই একমাত্র যাত্রী। যাত্রীরা সিটে বসলে ফ্লাইট কোথায় যাচ্ছে, বাইরের আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য দেন পাইলট। এটাই রেওয়াজ। কিন্তু ক্যাপ্টেন ঘোষণা করেন, ‘এটাকে আপনারা প্রাইভেট জেট মনে করুন। আপনাদের যা খুশি করতে পারেন’।
এমন ঘোষণা শুনে কেভিন আর সামান্থা আকাশ থেকে পড়েন। চোখে মুখে বিস্ময়। এমনও হয়! ক্রু সদস্যরা তাঁদের জন্য শ্যাম্পেন এবং খাবারদাবার নিয়ে আসে। মেতে ওঠে হাসি ঠাট্টায়। খাবারদাবারের জন্য কোনও চার্জ নেওয়া হয়নি কেভিনদের থেকে। ৪ ঘণ্টার ফ্লাইট যে কীভাবে কেটে গেল বুঝতেও পারেননি তাঁরা। পরে এক সাক্ষাৎকারে কেভিন এবং সামান্থা বলেছিলেন, ‘ওই দিন আমাদের লটারি লেগেছিল’।