রবিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি, বেসরকারি স্কুল, কলেজের ছবিটা ছিল এরকমই।বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি এ দিন ইংরেজি মাধ্যম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলেছে। যদিও ইংরেজি মাধ্যমের সব স্কুল এ দিন খোলেনি। আবার যেসব স্কুল খুলেছে, তাদের কেউ কেউ অললাইন এবং অফলাইন—দুটি ব্যবস্থাই রেখে দিয়েছে।
advertisement
রবিবার ক্লাস শেষে স্কুল থেকে বেরিয়ে বহু পড়ুয়ার চোখে-মুখে ছিল অপার আনন্দের ঝলক। বাবা-মায়ের সঙ্গে বন্ধুদের গল্প যেন শেষই হয় না। মন চাইছিল না বাড়ি ফিরতে। অনেক পড়ুয়াই বলেছে, জীবনের প্রথম দিন স্কুলে যাওয়ার যেমন অনুভূতি ছিল, অনেকটা তেমনই অনুভূতি হয়েছে এ দিন। অনেকের আবার বন্ধুদের পেয়ে বাড়ি যেতেই মন চাইছিল না। দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর স্কুলে ফেরার এই আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছিল প্রায় সারা দেশের সব প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলেও। শিক্ষার্থীরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাণ, তাই তাদের বরণ করে নিতে এ দিন নানা স্কুলে ছিল বিশেষ আয়োজন। কোথাও কোথাও গানবাজনা হয়েছে, কোথাও আবার ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবের আমেজ। তবে যা হয়েছে, সবই যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই।
তবে বাবা-মায়েরা অনেকেই এ দিন সন্তানকে স্কুলে পাঠাননি। আবার অনেকে সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে স্বস্তিতেও ছিলেন না। এ জন্য অনেক স্কুলের সামনেই ছিল অভিভাবকদের ভিড়। তবে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠায় আবার বিপদের আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সন্তানদের বিপদ হতে পারে। অভিভাবকদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করুন।'
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়। তারপর থেকে একাধিকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সংক্রমণের হার বিবেচনা করে তা আর কার্যকর হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন ও টিভিতে ক্লাস প্রচার করা হচ্ছিল। তবে গবেষণায় দেখা যায়, সেগুলি বিশেষ কার্যকর হচ্ছে না। কারণ এটা স্পষ্ট হয়ে যায় স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার বিকল্প কিছুই হতে পারে না। করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।