এদিকে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ডনবাসের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে৷ কিন্তু চিকিৎসক গিরিকুমার জানিয়েছেন তিনি শহর ছেড়ে নড়বেন না৷ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পোষ্যদের ছেড়ে আমি কখনওই চলে যাব না৷ পরিবার থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই বার বার বলা হচ্ছে৷ কিন্তু পোষ্যরা আমার সন্তানের মতো৷ শেষ শ্বাস প্রশ্বাসের বিন্দু অবধি আমি ওদের সঙ্গেই থাকব৷’’
advertisement
২০০৭ সাল থেকে এই ভারতীয় চিকিৎসক ইউক্রেনে আছেন৷ ডনবাসের এক হাসপাতালে তিনি কর্মরত অর্থোপেডিক হিসেবে৷ শহরের চিড়িয়াখানা থেকে তিনি দত্তক নিয়েছিলেন অনাথ ও অসুস্থ জাগুয়ারকে৷ তার নাম তিনি দিয়েছেন ইয়াশা৷ দু’ মাস আগে এনেছেন ব্ল্যাক প্যান্থার সাব্রিনাকে৷ দেড় বছর বয়সি পুরুষ জাগুয়ার ইয়াশার খেলার সঙ্গী হিসেবে৷ সাব্রিনা অবশ্য ৬ মাস বয়সি শাবক৷ ৪০ বছর বয়সি চিকিৎসক জানিয়েছেন, বাইরে অবিশ্রান্ত বোমাবর্ষণের মধ্যে পোষ্যদের সঙ্গে তাঁর দিন কাটছে বাঙ্কারে৷ যুদ্ধের মধ্যেই তিনি বার হচ্ছেন পোষ্য বিড়ালদের খাবার কেনার জন্য৷ তবে দু’জনেই খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই৷
আরও পড়ুন : কোভিডে প্রিয়জনকে হারানোর দুঃখ নিয়েই বসতে হচ্ছে মাধ্যমিকে? মন শক্ত করার উপায় বললেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
শুধু জাগুয়ার বা লেপার্ডই নয়৷ চিকিৎসকের কাছে আছে তিনটি ইটালিয়ান ম্যাস্টিফ প্রজাতির কুকুর৷ পোষ্যদের ভিডিও তিনি নিয়মিত শেয়ার করেন ইউটিউবে৷ তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৮৪ হাজারের বেশি৷
আরও পড়ুন : মরশুমি রোগ থেকে দূরে থেকে মাধ্যমিক দিতে কেমন হবে পরীক্ষার্থীর ডায়েট? জানালেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
গিরিকুমারের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার টানুকু অঞ্চলে৷ তাঁর আশা, পোষ্যদের নিয়ে দেশে ফেরবার জন্য ভারত সরকার ঠিক অনুমতি দেবেন তাঁকে৷ গত সপ্তাহে ভারতীয় ছাত্র ঋষভ কৌশিক ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরে আসেন পোষ্য মালিবু-কে নিয়েই৷